অগ্নুৎপাত: ইন্দোনেশিয়ায় নিহত বেড়ে ১৩

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ৫, ২০২১, ১০:৫৪ এএম

অগ্নুৎপাত: ইন্দোনেশিয়ায় নিহত বেড়ে ১৩

ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ জনে। এছাড়াও প্রায় শতাধিক মানুষ আহত হওয়া ছাড়াও বাস্তুচ্যুত হয়েছেন হাজারও মানুষ। দেশটির জাভা দ্বীপের মাউন্ট সুমেরু আগ্নেয়গিরি থেকে সৃষ্ট অগ্ন্যুৎপাতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় সময় শনিবার (০৩ ডিসেম্বর) ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভা প্রদেশে সুমেরু আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে এখন পর্যন্ত হাজারও মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। অর্ধশতাব্দী ধরে সুমেরু আগ্নেয়গিরি থেকে প্রায়ই অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটেছে।

https://www.youtube.com/watch?v=QmbPjV80rA4

ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ-বিএনপিবি রবিবার (৫ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘অগ্ন্যুৎপাতে দুই গর্ভবতী নারীসহ ৯৮ জন আহত হয়েছে। গ্রামের পর গ্রাম অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সৃষ্ট ছাইয়ে ঢেকে গেলে ধ্বংসস্তূপ থেকে লোকজন সরে যেতে বাধ্য হয়েছে।’

অগ্নুৎপাতের পর অন্তত ৩০০ পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সময় শনিবার (০৪ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে হঠাৎ করে সুমেরু পর্বত আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়।

এয়ারলাইন্সগুলোকে ছাইয়ের মেঘের কারণে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে, এ ছাই ৫০ হাজার ফুট পর্যন্ত ওপরে উঠে যেতে পারে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ থেকে ৩ মাইল পর্যন্ত এলাকায় কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না।

অস্ট্রেলিয়ার ভলক্যানিক অ্যাশ অ্যাডভাইজরি সেন্টার বলছে, আগ্নেয়গিরির ছাই ভারত মহাসাগরের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমের দিকে যাচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠানটি থেকে আগ্নেয়গিরির ছাইয়ের সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে এয়ারলাইন্সগুলোকে সতর্ক করা হয়। সেখানকার একজন কর্মকর্তা বলেছেন, বেশির ভাগ উড়োজাহাজ যে উচ্চতায় ওড়ে, সুমেরু আগ্নেয়গিরির ছাই তার চেয়েও ওপরে উঠেছে।

উড়োজাহাজের ইঞ্জিনে ছাই ঢুকে গেলে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।

এ ছাড়া ছাইয়ের কারণে পাইলটেরা স্পষ্ট দেখতে পান না এবং উড়োজাহাজের ভেতরে বাতাসের মান খারাপ হয়ে যেতে পারে। তখন অক্সিজেন মাস্ক পরা অপরিহার্য হয়ে উঠতে পারে।

মাউন্ট সুমেরু একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। এটি থেকে চার হাজার ৩০০ মিটার উঁচুতেও ছাই নির্গত হয়েছে।

মাউন্ট সুমেরু সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তিন হাজার ৬৭৬ মিটার ওপরে অবস্থিত। ইন্দোনেশিয়ায় সক্রিয় ১৩০টি আগ্নেয়গিরির মধ্যে এটি একটি। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরও এখান থেকে সবশেষ অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটেছে। সে সময় কয়েক হাজার মানুষকে সেখান থেকে পালিয়ে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে হয়েছিল।

Link copied!