ইরানে বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের গুলি, লাঠিচার্জ, গ্রেপ্তার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

অক্টোবর ৪, ২০২২, ০৪:২৬ এএম

ইরানে বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের গুলি, লাঠিচার্জ, গ্রেপ্তার

ইরানের রাজধানী তেহরানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর দেশটির  নিরাপত্তা বাহিনী ব্যাপক লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণ করার খবর পাওয়া গেছে। এসময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার হয়েছেন।

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরার খবরে বলা হয়, হিজাব বিতর্কে পুলিশ হেফাজতে ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে তিন সপ্তাহেরও বেশি আগে শুরু হওয়া বিক্ষোভ অব্যাহত থাকায় এমন পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।

স্থানীয় সময় রবিবার বিকেলে রাজধানীর শরীফ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির ভেতরে ছাত্ররা বিক্ষোভ করছিল। এ সময় দাঙ্গা পুলিশ কয়েক ঘণ্টা ধরে বিশ্ববিদ্যালয় ঘেরাও করে ছাত্রদের আটকে রাখে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমিতির দাবি—তাদের ওপর পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণ করেছে। সেখান থেকে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় অনেকে আহত হয়েছেন।

হিজাব বিতর্কে প্রচণ্ড বিক্ষোভ আর আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ এখন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরান। রাজধানী তেহেরানসহ দেশটির ২০টিরও বেশি শহরে আরও তীব্র হচ্ছে হিজাববিরোধী আন্দোলন।পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ভাঙচুর, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, পুলিশের লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট-এসব এখন ইরানের শহরে শহরে সাধারণ ঘটনা।

উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর সাকেজ থেকে আসা ২২-বছর বয়সী কুর্দি নারী মাসা আমিনি কোমায় তিন দিন কাটানোর পর হাসপাতালে মারা যান। আমিনি তার সাকাজের বাড়ি থেকে বের হয়ে রাজধানী তেহরানে গিয়েছিলেন। এসময় 'অযথাযথ' হিজাব পরার কারণে পুলিশ তাকে আটক করে। অভিযোগ, তিনি নারীদের হিজাব বা চাদর দিয়ে চুল ঢেকে রাখা এবং ঢিলেঢালা পোশাক পরার আইন ভঙ্গ করেছেন। পুলিশের একটি ডিটেনশন সেন্টারে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পরপরই তিনি কোমায় চলে যান এবং মারা যান। তার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ইরান জ্বলছে।

 

এদিকে, ইরানের রাষ্ট্র-চালিত আইআরএনএ সংবাদ সংস্থার ওয়েবসাইট বলা হয়েছে, শরীফ বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিরতার সময় পুলিশের অভিযানে কেউ হতাহত হয়নি।

Link copied!