বেটা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আগস্ট ২৮, ২০২১, ১১:০৯ পিএম
নারী স্বাস্থ্যকর্মীদের কর্মস্থলে ফিরতে বলেছে তালেবান। সংগঠনটি শুক্রবার (২৭ আগস্ট) এক বিবৃতিতে আফগান নারীদের প্রতি এ আহ্বান জানায়। প্রশিক্ষিত অনেক আফগান দেশ ছেড়ে পালানোয় আফগানিস্তানে জনসেবা খাতে ক্রমশ চাপের মুখে পড়ছে।
তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদের এক বিবৃতিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা খাতে কর্মরত নারীদের কর্মস্থলে ফিরতে বাধা নেই। কিছুদিন আগেই তালেবান আফগান নারীদের কর্মস্থলে যেতে নিরুৎসাহিত করেছিল। এমনকি তারা নারীদের কর্মস্থল থেকে ফিরে যেতে বাধ্য করে। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল তালেবান এবারও ১৯৯৬-২০০১ সালের শাসনামলের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে যাচ্ছে। কিন্তু, আফগানিস্তানের দূর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় কর্মী সংকট প্রকট হওয়ায় নিজেদের অবস্থান বদলাতে বাধ্য হয়েছে তালেবান।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘ইসলামিক আমিরাত আফগানিস্তানের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালযয়ের পরামর্শ অনুযায়ী সারাদেশে নারী কর্মীদের নিয়মিত কাজে যোগ দিতে বলা হচ্ছে’। জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘ইসলামিক আমিরাত নারীকর্মীদের দায়িত্ব পালনে কোনো বাধা দেবে না’।
তালেবানের একজন মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, ইসলামি শরিয়া আইন অনুযায়ী তাঁদের সরকার পরিচালিত হবে এবং সেখানে নারীরা শিক্ষা ও চাকুরির সুযোগ পাবে। তিনি যোগ করেন, শরিয়া আইনে নারীকে যতটুকু স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে তারা ততটুকু স্বাধীনতাই লাভ করবেন।
তবে এর আগে তালেবানের পক্ষ থেকে সম্প্রতি বলা হয়েছিল, নারীদের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত তারা যেন কর্মস্থলে ফিরে না যান। কিন্তু, স্বাস্থ্যখাতে নারী চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের অনুপস্থিতিত ভয়াবহ সমস্যা সৃষ্টি করায় দ্রুত নারী স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজে যোগ দিতে বলল তালেবান।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখল করে নেয় তালেবান। তারা কাবুলের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেলে দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি আফগানিস্তান ছেড়ে পালিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আশ্রয় নেন। সমগ্র আফগানিস্তানের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করলেও এখনও তালেবানের সরকার গঠন প্রক্রিয়া এখনো শেষ হয়নি।
