রাশিয়ার ৪৫ কূটনীতিককে বহিষ্কার করল পোল্যান্ড, প্রতিশোধ নেবে মস্কো

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ২৪, ২০২২, ০২:৪১ এএম

রাশিয়ার ৪৫ কূটনীতিককে বহিষ্কার করল পোল্যান্ড, প্রতিশোধ নেবে মস্কো

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে পোল্যান্ডে থাকা ৪৫ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে দেশটির সরকার। পাশপাশি তাদেরকে পাঁচদিনের মধ্যে পোল্যান্ড ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া।

স্থানীয় সময় বুধবার কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরার লাইভ আপডেটে এ তথ্য জানা গেছে। পোল্যান্ডের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মারিউস কামিনস্কি বলেছেন, গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ৪৫ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের দেশে রাশিয়ান বিশেষ পরিষেবা নেটওয়ার্ক ভেঙে দিচ্ছি।

আরও পড়তে পারেন: প্রয়োজনে অবশ্যই পরমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে রাশিয়া

এদিকে পোল্যান্ডে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত সের্গেই আন্দ্রেয়েভ বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পোল্যান্ড ছেড়ে যাওয়ার জন্য ৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি এ ধরণের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছেন। এই ঘটনার পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, তার দেশের কূটনীতিকদের পোল্যান্ড থেকে বহিষ্কার করা হলে ওয়ারশো বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেবে মস্কো।  

এদিকে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার ৩০০ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের সম্পদ বিশ্বের নানা দেশে জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ওলেগ উসতেঙ্কো।

কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমরা শক্তভাবেই বিশ্বাস করি আমাদের ইউরোপে মিত্ররা রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা দেবে।’

আরও পড়তে পারেন- ইউক্রেনে ন্যাটো শান্তিরক্ষী পাঠালে পরিণতি হবে ভয়াবহ: রাশিয়া

প্রসঙ্গত, উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য কয়েক বছর আগে আবেদন করা নিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর মধ্যে ন্যাটো ইউক্রেনকে ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় মস্কো-কিয়েভের দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়। ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহারে চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো। তবে ওই কৌশল কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। এর দুদিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধের ২৮ তম দিন বুধবার রাজধানী কিয়েভের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে রুশ বাহিনী।

Link copied!