মাত্রাতিরিক্ত গতিকে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ বলে বিবেচনা করছেন যাত্রী-শ্রমিক ও মালিকরা। এক জরিপে অংশগ্রহণকারী ৭৫ দশমিক ৮ শতাংশ যাত্রী, ৪৮ শতাংশ শ্রমিক ও ৫১ দশমিক ৮ শতাংশ মালিক এই বিবেচনার পক্ষে রায় দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে টিআইবির কার্যালয়ে ‘ব্যক্তি মালিকানাধীন বাস পরিবহন ব্যবসায় শুদ্ধাচার’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপনের অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে ২৪ শতাংশ বাসের ফিটনেস, ১৮ দশমিক ৯ শতাংশ বাসের নিবন্ধন, ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ বাসের ট্যাক্স টোকেন ও ২২ শতাংশ বাসের রুট পারমিট নেই বলেও অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদন উপস্থাপন করে বলা হয়, সড়কে বাণিজ্যিকভাবে চলাচলকারী সব বাসের জন্য নিবন্ধন ও ৩ ধরনের সনদ বাধ্যতামূলক রয়েছে। তবে প্রায় ৪১ দশমিক বাসকর্মী ও শ্রমিকদের মতে, সংশ্লিষ্ট কোম্পানির এক বা একাধিক বাসের নিবন্ধনসহ কোনো না কোনো সনদের ঘাটতি আছে।
আরও বলা হয়, ২২ দশমিক ২ শতাংশ কর্মী বা শ্রমিকদের মতে, চালকেরা মদ্যপান বা নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে গাড়ি চালান এবং কন্ডাক্টর, হেলপার বা সুপারভাইজার বাসে দায়িত্ব পালন করেন। নির্দেশনার যথাযথ প্রয়োগের অভাবে চলন্ত বাসে চালকরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে, ফলে অনেক সময় প্রাণহানিসহ দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।
গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেছেন টিআইবির গবেষক মুহা. নূরুজ্জামান ফারহাদ, ফারহানা রহমান ও মোহাম্মদ নূরে আলম।
বাসের যাত্রী, মালিক, বাসকর্মী ও শ্রমিকদের ওপর চালানো এক জরিপের ভিত্তিতে এই তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাস শ্রমিকদের দৈনিক প্রায় ১১ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। যাদের মধ্যে ৮২ শতাংশের নেই নিয়োগপত্র, ৬৯ দশমিক ৩ শতাংশের নেই নির্ধারিত মজুরি।
উল্লেখ্য, বিআরটিএর তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫ হাজার ২৪ ও যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্যানুযায়ী এই সংখ্যা ৭ হাজার ৯০২ জন।