আগস্ট ৭, ২০২৩, ০৩:২০ পিএম
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনী হত্যা মামলা তদন্তের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ শততম বারের মত পেছালো। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন এর আগে ৯৯ বার সময় নিয়েছে। এর আগে ২২ জুন প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী দিন ৭ আগস্ট ধার্য করেছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের পর রাজধানীর শেরে বাংলা থানায় মামলা হলে এর তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার একজন উপ-পরিদর্শক (এসআই)। চারদিন পর ওই মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।তবে দুই মাসেরও বেশি তদন্ত করে রহস্য উদ্ঘাটনে ব্যর্থ হয় হলে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভা র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সাগর-রুনি হত্যার পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই খুনিদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হবে। এরপর পেরিয়ে গেছে সাড়ে ১১ বছর। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ি, আদালতে এখনও সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়নি র্যাব।
চাঞ্চল্যকর এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শফিকুল ইসলাম গত রাতে একটি গণমাধ্যমকে বলেন, “আমি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী। বাধ্য হয়েই পরবর্তী তারিখের জন্য সময় প্রার্থনা করতে হবে।” তাই প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সোমবার আবারও নতুন দিন ধার্য করা হলে প্রতিবেদন দাখিল ১০০ বারের মতো পেছাবে।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনীকে তাদের রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় হত্যা করা হয়। তখন বাসায় ছিল তাদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সারোয়ার মেঘ। হত্যার পর রুনীর ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।