প্রিয় বন্ধুকে সময় দেওয়ার দিন আজ

লাইফস্টাইল ডেস্ক

জুন ৮, ২০২৪, ১১:২৮ এএম

প্রিয় বন্ধুকে সময় দেওয়ার দিন আজ

প্রতীকী ছবি

খারাপ সময়ে হোক কিংবা ভালো- যে সবসময় ছায়ার মতো পাশে থাকে, সে-ই প্রকৃত বন্ধু। সে-ই হয়ে ওঠে আমাদের প্রিয় বন্ধু। জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী কৃষ্ণকলির গানে বন্ধুত্বের এই বাতাবরণ উঠে এসেছে: ‘বন্ধু তোমার তোমার চোখের মাঝে চিন্তা খেলা করে/ বন্ধু তোমার কপাল জুড়ে চিন্তা লোকের ছায়া/ বন্ধু তোমার নাকের ভাঁজে চিন্তা নামের কায়া/ বন্ধু আমার মন ভালো নেই, তোমার কি মন ভালো/ বন্ধু তুমি একটু হেসো, একটু কথা বলো...।’

প্রিয় বন্ধু হলো এমন একজনের উপস্থিতি যার স্পর্শে গোটা জীবনটাই প্রাণোচ্ছ্বল হয়ে ওঠে। বিশ্বাস ও ভরসা থেকেই পারস্পরিক বন্ধুত্ব হয়। আর ভালোবাসার বন্ধন যদি সুদৃঢ় হয়, তবেই সেই বন্ধু আমাদের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠে। ঘনিষ্ঠ সঙ্গী অনেক সময় প্রিয় বন্ধুর ভূমিকা পালন করে থাকে।

বন্ধুর সঙ্গে সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা সবকিছু ভাগ করে নেওয়া যায়। বন্ধু ছাড়া আমাদের জীবন যেন চলতেই পারে না। মন খারাপের দুপুরে কিংবা বিপদেআপদে প্রিয় বন্ধুই ছুটে আসে। সেই প্রিয় বন্ধুর জন্যও আছে গোটা একটি দিন। হ্যাঁ, আজই সেই দিন। ৮ জুন বিশ্বব্যাপী পালিত হয় ‘বেস্ট ফ্রেন্ড ডে’। ১৯৩৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস প্রিয় বন্ধু দিবস অর্থাৎ ‘বেস্ট ফ্রেন্ড ডে’ প্রচলন করে। এরপর থেকে প্রতি বছর দেশটিতে পালিত হয়ে আসছে এই দিন।

আধুনিক সময়ে বন্ধুত্বকেও অনেকে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করে থাকেন। যেমন শুধুই বন্ধু (জাস্ট ফ্রেন্ড), প্রেমিক বন্ধু (বয় ফ্রেন্ড), প্রিয় বন্ধু (বেস্ট ফ্রেন্ড) প্রভৃতি। এছাড়া বন্ধুত্ব নিয়ে অনেকেই করেছেন উক্তি। মার্কিন কলামিস্ট ওয়াল্টার উইনচেল এই বন্ধুত্ব সম্পর্কে বলেছেন, “সত্যিকারের বন্ধু তখনই পাশে থাকে, যখন আর কেউ থাকে না।”

ইংরেজ কবি ও সাহিত্য সমালোচক স্যামুয়েল টেইলর কোলেরিজ বন্ধুত্ব ‘শেল্টারিং ট্রি’ বা ‘আশ্রয়দাতা বৃক্ষ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তবে সব ধরনের বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে এমনটা খাটে না। কেননা আমাদের গোটা জীবনে অনেক বন্ধু থাকতে পারে। কিন্তু প্রকৃত বন্ধু ক’জন থাকে। সত্যিকারের বন্ধু হলো সেই যার সঙ্গে অনায়াসেই সবকিছু শেয়ার করা যায়। ইংরেজিতে যাকে ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ বলা হয়। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি ১২ জনে একজন আমাদের প্রিয় বন্ধু হয়ে ওঠে। বাকিরা শুধু সুসময়ের। সময় খারাপ থাকলে কেটে পড়বে।

ভালো বন্ধু হওয়ার প্রথম ও প্রধান শর্ত হলো এই সম্পর্কের ভেতর কোনো ধরনের স্বার্থ বা প্রাপ্তির চিন্তা না থাকে না। মনে রাখবেন, আপনি যদি কোনো স্বার্থ হাসিল করতে বন্ধুত্ব করে থাকেন, তবে সাময়িক বিবেচনায় লাভবান হলেও জীবনের বড় একটা সময় আপনাকে একাকী, বন্ধুবিহীন কাটাতে হবে। তাই প্রাপ্তির চিন্তা থেকে নয়, নিজের ভালো লাগা আর ভালোবাসাগুলোকে একে অপরের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেওয়াই বন্ধুত্বের প্রথম দাবি।

বন্ধুত্বের দ্বিতীয় শর্ত হলো, পান থেকে চুন খসলেই ভুল বোঝাবুঝি বা মনোমালিন্য থেকে দূরে থাকতে হবে। এক্ষেত্রে সমমানসিকতার মানুষকেই আপনি বন্ধু নির্বাচন করতে পারেন। আপনার সহনশীলতা ও উদারতাই বন্ধুত্বের সম্পর্ককে নির্ভেজাল করে তোলে।

Link copied!