শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে অনেকে দিনের প্রথম খাবার প্রাতরাশ বা ব্রেকফাস্ট বাদ দিয়ে থাকেন। আবার কেউ কেউ সকালের খাবার খেতে ইচ্ছে করে দেরি করেন। তবে দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা বা দেরি করে প্রাতরাশ করা বিপদ ডেকে আনতে পারে। বাড়াতে পারে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের লাইফস্টাইল বিষয়ক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি ‘দ্য এন্ডোক্রিন সোসাইটি’র একটি আলোচনাচক্রে এই বিষয়ক গবেষণার কথা উঠে আসে। এই গবেষণার দাবি, সকাল সকাল প্রাতরাশ সারলে রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এমনকি, এই অভ্যাস টাইপ টু ডায়াবিটিসের ঝুঁকিও কমায়।
মূল গবেষণাটি চালানো হয় আমেরিকার শিকাগোর নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম গবেষক মরিয়ম আলি জানান, গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা দিনের শুরুতে তাড়াতাড়ি প্রাতরাশ করেছেন, তাঁদের দেহে ব্লাড সুগার ও ইনসুলিন রেজিস্টান্স, দুই-ই কম ৷
স্বাস্থ্য ও পুষ্টিবিষয়ক গবেষণায় তারা সমীক্ষা চালান ১০ হাজার ৫৭৫ জন পূ্র্ণবয়স্ক আমেরিকান নাগরিকের উপর ৷ কিন্তু কত তাড়াতাড়ি করে ফেলতে হবে প্রাতরাশ? সমীক্ষকদের পরামর্শ, সকাল ৮-৩০ টার মধ্যে প্রাতরাশ সেরে ফেলতে হবে ৷ তা হলে টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কম হবে ৷
এর আগে বলা হত, ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং-য়ে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রিত হয় ৷ কিন্তু এন্ডোক্রিনোলজিস্টদের সাম্প্রতিক এই গবেষণায় দাবি, উপবাসের সঙ্গে টাইপ টু ডায়াবেটিস বৃদ্ধি বা কমার সম্পর্ক নেই ৷ কিন্তু সঠিক সময়ে প্রাতরাশের সঙ্গে আছে ৷
তাই তাঁদের পরামর্শ, আর্লি টু রাইজ এবং আর্লি টু বেড-এর সেই প্রাচীন বার্তাতেই ৷ কারণ সাইলেন্ট কিলার বা নিঃশব্দ প্রাণঘাতী টাইপ টু ডায়াবেটিস থেকে যায় জীবনভর ৷ এই অসুখে শরীর ইনসুলিনকে সঠিক পথে ব্যবহার করতে পারে না ৷ পিপাসা বেড়ে যাওয়া, খিদে, ক্লান্তি, ঝাপসা দৃষ্টি, ঘনঘন প্রস্রাবের বেগ-এ সবই টাইপ টু ডায়াবেটিস-এর উপসর্গ ৷