এলাকাবাসী চায় তাই দুই আসনে ভোট করবো: হিরো আলম

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জানুয়ারি ৩, ২০২৩, ০১:৪১ এএম

এলাকাবাসী চায় তাই দুই আসনে ভোট করবো: হিরো আলম

বগুড়ার ক্যাবল অপারেটর আশরাফুল আলম গান গেয়ে ও মিউজিক ভিডিও তৈরি করে ‘হিরো আলম’ নামে দেশের বেশ পরিচিত মুখ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে দেশের বাইরেও পৌঁছে গিয়েছে তাঁর নাম। হিরো আলম এবার উপ-নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহাল-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপ্রার্থী। মনোনয়নপত্র নেয়ার পর হিরো আলম বলেন, ‘বিগত সময় যেহেতু কাহালু-নন্দীগ্রাম থেকে ভোট করেছিলাম এবার ওখান থেকে ভোট না করলে সেখানকার মানুষ মন খারাপ করবে। তাই দুই এলাকার মানুষকে খুশি করতে দুটি আসন থেকেই নির্বাচন করতে যাচ্ছি।’

সোমবার (২ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় বগুড়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এই দুই আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র তোলেন তিনি। এই দুই আসনে প্রথমে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চেয়ে পাননি তিনি।

হিরো আলম বলেন, ‘আমি হঠাৎ করেই কালো টাকার মালিক কিংবা ব্যবসায়ী হয়ে টাকা লুট করতে সংসদ সদস্য হতে আসিনি। অনেক আগে থেকেই সেবামূলক কাজ করে আসছি এবং জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ ও মেলামেশা করছি। গরিব জনগণই আমার ভরসা। তাদের ভোট এবং ভালোবাসা নিয়ে বিজয়ী হতে পারব বলে আমি আশাবাদী।’

হিরো আলম আরও বলেন, ‘যখন জনপ্রিয় ছিলাম না তখন বগুড়া সদরে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হিসেবে ভোট করেছিলাম। এখন জনপ্রিয় হয়েছি তাই এলাকার মানুষ বলছে, আগে যেহেতু বগুড়া সদর থেকে ইউনিয়ন পরিষদের ভোট করেছ, এখন জনপ্রিয় হয়েছ তাই বগুড়া সদর থেকেই তোমাকে ভোট করতে হবে। এলাকার মানুষের অনুরোধে আমি সদর থেকেও ভোট করবো।’

তফসিল ঘোষণার পর একটি আসন থেকেই নির্বাচনের কথা বললেও পরে দুটি আসনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন হিরো আলম। মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর তিনি জানান, ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময়ের চেয়ে তার লোকবল এবার অনেক বেশি। তাই নির্বাচনি মাঠে তিনি ‘হিরো’র মতই অবস্থান নিবেন। বিগত নির্বাচনে মারামারি হওয়ার কারণে এবার তিনি সাংগঠনিক শক্তি এবং লোকবল বাড়িয়েছেন বলে জানান।

গতবারের সংসদ নির্বাচনের মতো এবারও ‘সিংহ প্রতীক’ নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে চান হিরো আলম। সেই নির্বাচনের দিন কারচুপি ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। 

২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বগুড়া-৪ আসন থেকে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন হিরো আলম। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে মনোনয়ন দাখিল করেও দুই দফায় যাচাই-বাছাইয়ের পর মনোনয়ন বাতিল করা হয়। পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টে গিয়ে প্রার্থিতা ফিরে পান তিনি। তবে প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে হেরে জামানত হারিয়েছিলেন হিরো আলম।

গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ছয়জন পদত্যাগ করেন। এর মধ্যে একজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য।

বাকি পাঁচটি সংসদীয় আসনে উপ-নির্বাচনের ভোট হবে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি।

Link copied!