বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে এসেছে কূটনৈতিক সাফল্য

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ১৬, ২০২১, ০৩:০৭ পিএম

বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে এসেছে কূটনৈতিক সাফল্য

স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের যতগুলো সাফল্য চোখে পড়ার মতো তার মধ্যে কূটনৈতিক সাফল্য অন্যতম। ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’--বঙ্গবন্ধুর এই কূটনৈতিক দূরদৃষ্টির কারণেই সফলতা এসেছে। কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা একবাক্যে এ কথা স্বীকারও করেছেন। সময়োচিত কূটনীতির কারণে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের বিপক্ষে থাকা চীনসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গেও বর্তমানে বন্ধুত্বপূর্ণ রয়েছে বাংলাদেশের। রোহিঙ্গা সংকটসহ সাম্প্রতিক সময়ে ওয়াশিংটন-ঢাকার সম্পর্কের চলমান টানাপোড়েনও মিটে যাবে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।

বাংলাদেশের স্বীকৃতি আদায়ের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের বিরোধিতা-অপপ্রচার ছাড়াও নানা কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। বাংলাদেশের স্বীকৃতির প্রশ্নে একদিকে ভারত অন্যদিকে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও চীন দুই ব্লকের বিভক্তি স্পষ্ট হয়। বাংলাদেশের পক্ষে সমর্থন থাকায় ভারত ও সোভিয়েতপন্থী দেশুগুলো শুরুর দিকেই স্বীকৃতি দেয়। ১৯৭২ এর জানুয়ারি মাসেই পূর্ব জার্মানি, বুলগেরিয়া, পোল্যান্ড, মিয়ানমার, নেপাল, সোভিয়েত ইউনিয়ন স্বীকৃতি দেয়।

এরপর পাকিস্তান সমর্থিত চীন ছাড়া সবগুলো পরাশক্তিকেই বাংলাদেশ নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসে।  জাতিসংঘের সদস্য পদ পেতে অনেক বেগ পেতে হয়। পাকিস্তানের পক্ষে চীন দুইবার ভেটোও দেয়। ১৯৭৪ সালে আর বিরোধিতা না করায় ওই বছরের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে। তবে চীন ও মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরবসহ অনেক দেশ বঙ্গবন্ধুর হত্যাযজ্ঞের পর স্বীকৃতি দেয়।

সদ্য স্বাধীন দেশের স্বীকৃতিসহ কূটনীতিতে যেসব সাফল্য এসেছে তার পেছনে রয়েছে করেছে বঙ্গবন্ধুর ক্যারিশম্যাটিক পররাষ্ট্র নীতি। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, “স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি হবে-সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’। একই সঙ্গে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশকে তিনি প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড হিসাবে তৈরি করবেন।’ তার দেখানো পথেই দেশ গত ৫০ বছরে ব্যাপকভাবে কূটনৈতিক সাফল্য পেয়েছে।”

বাংলাদেশের স্বীকৃতিসহ কূটনীতিতে যেসব সাফল্য এসেছে তার পেছনে বঙ্গবন্ধুর ক্যারিশম্যাটিক পররাষ্ট্র নীতি রয়েছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন।ছবি: সংগৃহীত

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য পদ লাভ এবং সংস্থাটির সাধারণ পরিষদে সভাপতিত্ব করার বিষয়টি কূটনৈতিকভাবে বাংলাদেশের বড় ধরনের সাফল্য উল্লেখ করে ড. দেলোয়ার আরও বলেন, “গত ১০ বছরে আমরা যদি ফিরে যাই তবে দেখি মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে চলমান সমস্যা সমাধান করতে পেরেছে বংলাদেশ। তাছাড়া, ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি হওয়াসহ ১৯৭৪ সালে সম্পাদিত সীমান্ত চুক্তিটিও বাস্তবায়িত হয়েছে।”

ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের এই শিক্ষক আরও বলেন, “স্বাধীনতার ৫০ বছরে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের বিপক্ষে থাকা চীনের সঙ্গে সম্পর্ককে শক্তিশালী করা হয়েছে। বর্তমানে জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়ার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক। ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গেও আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।”

১৯৯১-৯২ সালে বিশ্বে মুক্তবাজার অর্থনীতির বিকাশ ঘটলে দাতা দেশগুলো বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুনভাবে মূল্যায়ন করে। ওই সময় সাহায্যপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেকটা ছিটকে পড়ে। পরে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দাতা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কটা শক্তিশালী পর্যায়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং সফল হয়।

অধ্যাপক দেলোয়ারের মতে ২০০৯ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত দেশ কূটনীতিতে সবচেয়ে বেশি সফল হয়েছে। তিনি বলেন, “এই সময়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘের মিলেনিয়াম ডেভলেপমেন্ট গোল-এমডিজি অর্জন করে। বিশ্বব্যাংকের ঋণ ছাড়াই এককভাবে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেয়। একাধিক বৈশ্বিক ফোরামে বাংলাদেশ নেতৃত্ব দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করে, চীন-জাপানসহ একাধিক রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ট হয়, দেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ে এবং সর্বশেষ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের মর্যাদা পায় বাংলাদেশ।”

ভারসাম্য কূটনীতির কারণে করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সফল হয়েছে বলে মনে করেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. তৌহিদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. তৌহিদ হোসেন দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, “ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছায়। পাশপাশি চীনের সঙ্গে গভীর অর্থনৈতিক সম্পর্কের কারণে এক ধরনের ভারসাম্য রক্ষিত হচ্ছে। দীর্ঘ সময় ঝুলে থাকা ভারত-বাংলাদেশ স্থলসীমা চুক্তি অবশেষে কার্যকর হয় এবং ছিটমহল বিনিময় সম্পন্ন হয়। বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয় বিদ্রোহী গ্রুপগুলোকে বিতাড়ন করা হয় এবং তাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ খাতে সহযোগিতা বেড়েছে। ভারতকে দেওয়া হয়েছে ট্রানজিট সুবিধা।”

২০০৬-২০০৮ সাল পর্যন্ত সময় দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশের এই পররাষ্ট্র সচিব আরও বলেন, “ভারসাম্য কূটনীতির কারণে করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ সফল হয়েছে। চুক্তি মোতাবেক ভারত করোনা টিকা সরবরাহ না করায় বিপাকে পড়লে বাংলাদেশকে সহায়তায় এগিয়ে আসে চীন। দেশটি থেকে উপহার হিসেবে ও ক্রয়চুক্তি মোতাবেক করোনার টিকা পেয়ে করোনা পরিস্থিতি ভালভাবে সামাল দেয় ঢাকা। পাশাপশি যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশ কয়েক দেশ বাংলাদেশকে টিকা সরবরাহ করে সহায়তা করে।”

রোহিঙ্গা ইস্যু ছাড়া সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের কূটনৈতিক সাফলতা ঈর্ষাণীয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, “সামগ্রিক দৃষ্টিতে দেখলে রোহিঙ্গা ইস্যু ছাড়া সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের কূটনৈতিক সাফলতা ঈর্ষাণীয়। মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের শক্তিশালী বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। বলা চলে দেশটিতে চীন প্রায় একচেটিয়ভাবেক ব্যবসা ও বাণিজ্যিক সুবিধা ভোগ করছে। দেশটিতে চীনের বড় বড় প্রজেক্ট চালু রয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গেও চীনের ভাল সম্পর্ক রয়েছে। তাই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে চীন বড় ধরণের ভূমিকা পালন করতে পারে।” 

পাশাপাশি এই ইস্যুতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সোচার হওয়ার জন্য সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতা আরও জোরদার করতে হবে বলে মনে করেন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নিয়ে পাকিস্তানের ফরেন সার্ভিসের চাকুরী ছেড়ে মুজিবনগর সরকারে যোগদানকারী এই কূটনীতিক।

১৯৭২ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সদস্যপদ অর্জন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন ওয়ালিউর রহমান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক এই বিশেষ দূত আরও বলেন, “প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের যেসব অর্জন তার সবই হয়েছে আওয়ামী লীগের শাসনামলে। পঁচাত্তরের পট পরিবর্তনের পর বিএনপি ও এরশাদ সরকারও পদ্মার পানি বণ্টন চুক্তির ব্যপারে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি।  ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে পদ্মার পানি বণ্টন চুক্তি সম্পন্ন করে।”তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তিও সম্পাদিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

র‌্যাব এবং সংস্থাটির বর্তমান ও সাবেক সাত কর্মকর্তার বিরেুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া সঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

তিস্তা নদীর পানি চুক্তির ব্যাপারে ওয়ালিউর রহমানের মতো একই মনোভাব পোষণ করেন সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী। দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে তিনি বলেন, “ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার চুক্তির পক্ষে থাকলেও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার বেঁকে বসে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার যেহেতু বিচ্ছিন্নতাবাদীসহ দিল্লির বেশ কিছু দুশ্চিন্তা দূর করেছে, তেমনি নরেন্দ্র মোদি সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমাদের প্রাণের দাবি তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সম্পাদনে এগিয়ে আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি।” তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক নিশেধাজ্ঞা সরকারকে একটু হলেও বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

মানবাধিকারের প্রশ্নে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এবং সংস্থাটির বর্তমান ও সাবেক সাত কর্মকর্তার বিরেুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া সঠিক হয়নি জানিয়ে সাবেক এই পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে।দীর্ঘ দিনের গণতন্ত্র চর্চাকারী দেশটির কাছ থেকে এই ধরণের অগণতান্ত্রিক আচরণ মোটেই কাম্য নয়।এই সংকট নিরসনে বর্তমান সরকারকে জোরালো কুটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে এবং তাদের বোঝাতে হবে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পেছনে কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।”

তবে স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের ব্যাপক কূটনৈতিক সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, “চলতি বছর বিশ্বের ৭৭ টি বাংলাদেশি দূতাবাস ও মিশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। এই উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর মহান কীর্তি, মানুষের জন্য তার সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। মুজিববর্ষ পালন কুটনীতিতেও বড় সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে।”

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না থাকলেও এ সংকট সমাধানে আশাবাদ ব্যক্ত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি গত ১৭ নভেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হওয়া রোহিঙ্গা রেজুলেশনের বিষয়টি তুলে ধরেন।  বলেন, “এর আগে ওই অধিবেশনে যারা বরাবরই ভেটো দিয়ে আসছিল তারাও বাংলাদেশের পক্ষে মত দেয়।”

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না থাকলেও আসছে নতুন বছরেই এ সংকট সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ছবি: সংগৃহীত

আসছে নতুন বছরে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান হওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে ড. মোমেন বলেন, “প্রতিবেশি মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের খুব ভাল দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রয়েছে। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীনের অবস্থানের ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার সঙ্গে চীন যুক্ত হয়েছে। এটি ভালো লক্ষণ। আশাকরি নতুন বছরেই এ সমস্যার সমাধান হবে, ইনশাআল্লাহ।”

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা বিষয়টির সমাধানও হয়ে যাবে বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন। মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় আয়োজিত এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা পরিবর্তনে প্রচেষ্টা চালানো হবে বলে।

Link copied!