২০০৩ সালে চিলির আটাকামা মরুভূমি থেকে একটি কঙ্কাল উদ্ধার হয়। নাম দেওয়া হয়েছে ‘আটা’। কঙ্কালটির মাথা শঙ্কু আকৃতির। দেহে মাত্র ১০টি পাঁজর রয়েছে। দৈর্ঘ্য মাত্র ৬ ইঞ্চি।
ছয় ইঞ্চি মাপের কঙ্কালটি কি ভিন্গ্রহের প্রাণীর? এক যুগেরও বেশি সময় ধরে এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছিলেন বিজ্ঞানীরা। কৌতূহল বাড়ছিল পৃথিবীতে ভিন্গ্রহের প্রাণীদের ‘যাতায়াত’ নিয়ে। সাম্প্রতিক কালে ইউএফও দেখা গিয়েছে এমন কয়েকটি দাবি করা ঘটনাকে ঘিরে এমনিতেই ভিন্গ্রহের প্রাণীদের অস্তিত্ব নিয়ে বিশ্বে জোর তর্ক চলছে। তার মধ্যে ছয় ইঞ্চি মাপের ত্রিকোণা মাথার অদ্ভুতদর্শন একটি কঙ্কাল সেই জল্পনাকে আরও উস্কে দিয়েছে।
চিলির লা নোরিয়ায় ধনসম্পদ খুঁজতে গিয়ে এই অদ্ভুতদর্শন কঙ্কালটি খুঁজে পেয়েছিলেন অস্কার মুনো নামে এক ব্যক্তি। তার পর থেকেই ছয় ইঞ্চির এই কঙ্কাল নিয়ে রহস্য বেড়েছে। কঙ্কালের আকৃতি এতটাই ছোট যে সেটিকে ছোট চামড়ার খাপে ভরে ফেলা যায়। ১৮ বছর পর সব রহস্যের পর্দা ফাঁস করলেন বিজ্ঞানীরা।
তাদের দাবি, কঙ্কালটি একটি শিশুর। আনুমানিক ৪০ বছর আগে সেটির মৃত্যু হয়। জিনগত সমস্যার জন্য শরীরের বিকৃত গঠন এবং হাড়ের বিকাশ ঘটেনি। বামনত্বের কারণেই এমন হয়েছে বলে মত বিজ্ঞানীদের। জন্মের পর পরই শিশুটির মৃত্যু হয়েছিল বলেও ধারণা তাদের। তবে ভিন্গ্রহের প্রাণী বলে যে জোরালো জল্পনা ঘুরে বেড়াচ্ছিল এক যুগেরও বেশি সময় ধরে তাতে আপাতত জল ঢাললেন বিজ্ঞানীরা। তারা জানিয়েছেন, ওটা কোনও ভিন্গ্রহের প্রাণী নয়, সেটি মানবসন্তানের কঙ্কাল।