চট্টগ্রাম-১৬ আসনে আওয়ামী লীগের মোস্তাফিজুর রহমানের প্রার্থিতা বাতিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

জানুয়ারি ৭, ২০২৪, ১০:৪৬ এএম

চট্টগ্রাম-১৬ আসনে আওয়ামী লীগের মোস্তাফিজুর রহমানের প্রার্থিতা বাতিল

ছবি: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ

চট্টগ্রাম-১৬ আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে এ সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

রবিবার (৭ জানুয়ারি) দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ১৫ মিনিট আগে ইসির সচিব জাহাংগীর আলম বিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানান।

এর আগে সাড়ে সোয়া তিনটায় সংবাদ সম্মেলনে সচিব জানান, এ পর্যন্ত সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী মোট সাতটি কেন্দ্রের ভোট বাতিল করা হয়েছে এবং ১৫জন ব্যক্তি জাল ভোট বা জাল ভোটে সহায়তা করার কারণে তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। যার ভেতরে প্রিজাইডিং, সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার আছে এবং যারা জাল ভোট দিতে গেছেন তারা রয়েছেন।

তিনি বলেন, অঞ্চলভিত্তিক যে তথ্য আমরা পেয়েছি তাতে গড় ভোট পড়েছে ৩টার সময় ২৬. ৩৭ শতাংশ। এখন যেহেতু সময় বেড়েছে তাতে আমরা ২৭ প্লাস বলতে পারি। এরমধ্যে দুয়েকটা উপজেলার কেন্দ্রের তথ্য হালনাগাদ নাও হতে পারে যার কারনে এই সংখ্যাটা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ইসি সচিব জানান, ছোটখাটো ৩০-৩৫টি জায়গায় ভোটকেন্দ্রের বাইরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কোথাও আমাদের পুলিশ অফিসারের গাড়ির গ্লাস ভাংচুর করা হয়েছে। কোথাও ভোটকেন্দ্রের পাশে ককটেল ফোটানো হয়েছে। আমরা কমিশনের পক্ষ থেকে দু:খ প্রকাশ করছি দুটো বিষয়ে আমাদের দুইজন সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার একজন  গতরাতে হার্টঅ্যাটাকে মারা গেছেন এবং আজকে আরেকজন জামালপুরে হার্টঅ্যাটাক করে মৃত্যুবরণ করেছেন।

সাত কেন্দ্রের ভোট বাতিলের কারণ জানতে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, জাল ভোট পড়েছে বেশি পরিমাণে, ভাংচুর হয়েছে।

কেন্দ্রভিক্তিক ফলাফল শিটে আগে থেকেই স্বাক্ষর নিয়ে রাখার বিষয়টি নজরে আনলে তিনি বলেন, যদি এ রকম  ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে তাদেরকে রিটার্নিং বা সহকারি রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ করলে অবশ্যই প্রিজাইডিং অফিসার শাস্তির আওতায় আসবে। 

বিভাগ অনুযায়ী তথ্য প্রকাশ করে তিনি বলেন, ঢাকায় ২৫, চট্টগ্রামে ২৭, খুলনায় ৩২, সিলেটে ২২, ময়মসিংহে ২৯, রাজশাহীতে ২৬, রংপুরে ২৬ এবং বরিশালে ৩১ শতাংশ।

নির্বাচন কমিশন কি শিল্পমন্ত্রীর ছেলেকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাংগীর আলম বলেন, নির্বাচন কমিশন কারও ছেলে বা মেয়েকে বলে নাই। নির্বাচন কমিশন বলেছে যিনি দুস্কৃতিকারী, যিনি অপরাধ করবেন তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসবে। আমি যদি হই আমাকেও আইনের আওতায় নিয়ে আসবে।

নির্দিষ্ট কাউকে বলা হয়েছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর যারা যেখানে দায়িত্বে আছেন তাদেরকে বলা হয়েছে। তবে একটু আগে একজন প্রিজাইডিং অফিসার অ্যারেস্ট হয়েছেন।

ভোটের পরিবেশ নিয়ে তিনি বলেন, আমরা তো মনে করি এখন পর্যন্ত বড় ধরণের কোনো কোনো ঘটনা ঘটেনি।

ভোট এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু আপনারা যেটা চেয়েছেন সেটা কি হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,    
আশা করি বাদ মাগরিবের পর থেকে ফলাফল দেওয়া শুরু করতে পারবো।

Link copied!