সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৫, ০১:৪০ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
অন্তর্বর্তী সরকার বৈষম্য দূর করতে এসে ‘আরও বৈষম্য’ তৈরি করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে রোববার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
তার সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের এবং এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা।
বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং এনসিপি-এই তিনটি রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে গিয়ে সরকার এক ধরণের বৈষম্য সৃষ্টি করেছে বলে মনে করেন রাশেদ খাঁন।
সোমবার সকালে নিজের ফেইসবুকে এক পোস্টে তিনি বলেন, “তিনটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিজেদের প্রটেকশনের স্বার্থে নিয়ে গেছেন। তাছাড়া সেখানে রাজনীতিকদের কোন কাজ নাই।”
নিউইয়র্কে ইউনূসের সফর ঘিরে এরই মধ্যে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানানোর উদ্যোগ নিয়েছে। বিপরীতে, বিক্ষোভ প্রদর্শনের প্রস্তুতি নিয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সে প্রসঙ্গ ধরে রাশেদ খাঁন বলেন, “স্বাভাবিকভাবে সেখানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করবে। হয়ত তারা গালিগালাজ বা উপদেষ্টাদের অপদস্ত করার মত ঘটনা ঘটাবে। ইতোমধ্যে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা নিরাপত্তার জন্য ব্যানার নিয়ে নেমে গেছে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগও আছে। বিদেশের মাটিতে মুখোমুখি অবস্থান!”
তিনি বলেন, “কল্পনা করেন, যদি রাজনৈতিক প্রতিনিধিরা না যেত, তাহলে কি বিএনপি- জামায়াতের নেতাকর্মীরা আসত? না আসলে পরিণতি কি হত?
“অর্থাৎ সরকারের উপদেষ্টারা যত বড় কথাই বলুক না কেন, তারা টিকেই আছে রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন ও সহযোগিতায়।”
সরকার ‘বৈষম্য সৃষ্টি করেছে’, এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, “আমার মাঝেমধ্যে মনে হয়, বৈষম্য দূর করতে এসে এই উপদেষ্টা পরিষদ আরও বৈষম্যের উৎপাদন করেছে।
“সাড়ে তের মাসে সরকার প্রধান যেসব অনুষ্ঠানে দেশের বাইরে গেছেন, সেসব অনুষ্ঠানে পৃথিবীর অন্যান্য অনেক দেশ স্রেফ প্রতিনিধি পাঠিয়েছে। কিন্তু আমাদের সরকার প্রধান সেখানে নিজে উপস্থিত হয়ে অনুষ্ঠানের গুরুত্ব বাংলাদেশিদের কাছে প্রবল করেছেন।”
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “সর্বশেষ জাতিসংঘ সফরে বিএনপির দুই জন প্রতিনিধি ও জামায়াত-এনসিপির একজন করে প্রতিনিধি থাকায় জামায়াত-এনসিপি আপত্তি জানিয়েছে, তারা সরকার থেকে সমতা চায়!
“মানে নিজেদের মধ্যে সমতার নীতি প্রতিষ্ঠিত হলে আর কোন দলের প্রয়োজন নেই! এভাবেই সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের বাংলাদেশ গঠন করতে চায়। প্রধান উপদেষ্টার জাতিসংঘ সফর সফল ও সার্থক হোক।”