চন্দ্রযান-৩: কতটা জটিল ছিল এর সফট ল্যান্ডিং?

শামস তারেক আজিজ

আগস্ট ২৭, ২০২৩, ০২:১৯ এএম

চন্দ্রযান-৩: কতটা জটিল ছিল এর সফট ল্যান্ডিং?

সংগৃহীত ছবি

বিশ্বের ৪র্থ দেশ হিসেবে চাঁদে সফট ল্যান্ডিং এবং প্রথম দেশ হিসেবে গত ২৩ আগস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে ইতিহাস গড়েছে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত। এ নিয়ে বিশ্বব্যাপী দেশটির জয়জয়কার। বেশ কয়েকটি ব্যর্থতার পর কাঙ্খিত সফলতার দেখা পেয়েছে দেশটি। কিন্তু সফট ল্যান্ডিংয়ের এ যাত্রা, কতটা কঠিন ছিল তাদের জন্য?  

বিশ্বের দেশগুলো এখন পর্যন্ত চাঁদে মোট ১৪৬ বার অভিযান সম্পন্ন করেছে কিন্তু এর বেশিরভাগই ছিল ব্যর্থ।

মহাকাশযানের ল্যান্ডিং মূলত দুই প্রকারের হয়ে থাকে, একটি হার্ড ল্যান্ডিং যাতে মহাকাশযানগুলো কোনোকিছুর পৃষ্ঠে আছড়ে পড়ে, আরেকটি হলো সফট ল্যান্ডিং যাতে মহাকাশযানগুলোর গতি ধীর করে অবতরণ করে। যাতে গবেষণাকার্য চালানোর জন্যে থাকা সেন্সরগুলো কার্যকরী অবস্থায় থাকে অথবা নভোচারী থাকলে তারা সুস্থ থাকে। 

ভারতের পূর্বে ৩টি দেশ চাঁদে সফট ল্যান্ড করতে সক্ষম হয়েছে প্রথম দেশ হিসেবে ১৯৬৬ সালে চাঁদে সফট ল্যান্ড করে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন এটি সম্পন্ন করে। 

চন্দ্রযান-৩-কে গত ১৪ জুলাই দুপুরে, ভারতীয় রাষ্ট্রীয় মহাকাশ সংস্থা ‘ইসরো’ উৎক্ষেপণ করে। উৎক্ষেপণের পর ৫ বার পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরে এবং প্রায় ২২ দিন পরে এটি চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করে এটি। সেখানে অন্যান্য মহাকাশযানের মতো সরাসরি অবতরণ না করে এটি চাঁদের কক্ষপথেও কয়েকবার ঘুরতে থাকে যাতে এর গতি কমাতে পারে। শুধুমাত্র গতি নয় বরং এর মাধ্যমে সঠিক অবতরণের স্থান নির্বাচন করে সে স্থানগুলো ভালোভাবে তদারকি করে, অবতরণের লক্ষ্যে। 

সাধারণত সফট ল্যান্ডিংয়ের প্রধান বাধা, চাঁদের বায়ুমন্ডল অত্যন্ত পাতলা হওয়া। এতে ল্যান্ডার যখন অবতরণ করতে যায় তখন চাঁদের মাটি চারপাশে উড়তে থাকে। এগুলো ল্যান্ডারের স্পর্শকাতর সেন্সরগুলোতে নষ্ট করে দিতে পারে। 

চাঁদে সফলভাবে অবতরণের পর চন্দ্রযান-৩ সেখানকার মাটির নমুনা বিশ্লেষণ, বরফ ও পানির খোঁজে অনুসন্ধান চালাবে এটি। 

এ সপ্তাহে একই অঞ্চলে সফট ল্যান্ডিংয়ের সময় রাশিয়ার লুনা-২৫ ল্যান্ডার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিধ্বস্ত হয়েছিল। 

Link copied!