শুধু মনে মনে ভাববেন, আর তাতেই ভাবনার ওই ব্যক্তির কাছে চলে যাবে ফোন বা মেসেজ। না, এটা কোনও স্বপ্ন নয়, বাস্তবেই ঘটতে চলেছে এমনটা।
ভাবনাকে বাস্তবতায় পরিণত করছেন ইলন মাস্ক। প্রথমবারের মতো মানব মস্তিষ্কে নিউরালিংকের চিপ বসানো হয়েছে। এই কথা জানিয়েছেন নিউরালিংকের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক। যার মস্তিষ্কে চিপটি বসানো হয়েছে, তিনি এর মধ্যেই মস্তিষ্কের মাধ্যমে কম্পিউটার চালনা করতে পারছেন বলেও দাবি করেছেন মাস্ক।
সম্প্রতি এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে মাস্ক জানান, “প্রাথমিক ফলাফলে নিউরন স্পাইক শনাক্তকরণ ব্যবস্থায় আশাব্যঞ্জক সাড়া মিলেছে।”
স্পাইক হলো নিউরনের কার্যকলাপ। যাকে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হেলথ ‘কোষের বৈদ্যুতিক এবং রাসায়নিক সংকেত ব্যবহার করে মস্তিষ্কে এবং শরীরে তথ্য প্রেরণ ব্যবস্থা’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
চিপ বসানোর পর ওই ব্যক্তি সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন।
নিউরালিঙ্কের এই ডিভাইস মস্তিষ্কের সঙ্গে কম্পিউটারকে যোগ করার ইন্টারফেস। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, এটি এক ধরনের ব্রেন চিপ, যা মস্তিষ্ক ও মোবাইল মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবে।
২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসন (এফডিএ) নিউরালিঙ্ককে প্রথমবারের মতো মানুষের মস্তিষ্কে চিপ বসিয়ে পরীক্ষা চালানোর অনুমতি দেয়, যা পক্ষাঘাতগ্রস্ত ও বিভিন্ন স্নায়বিক রোগে আক্রান্তদের সাহায্য করার জন্য এই স্টার্টআপের লক্ষ্য অর্জনে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
নিউরালিঙ্ক আগে জানিয়েছিল, তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হচ্ছে ব্রেনে বসানো চিপের সাহায্যে মানুষ যাতে তাদের কম্পিউটারের কার্সর ও মাউস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। অর্থাৎ মনে মনে ভেবেই কম্পিউটারে কাজ করা যাবে।
ইলন মাস্কের লক্ষ্য শুধু মন বা মস্তিষ্ক দিয়ে ফোন নিয়ন্ত্রণ করাই নয়। পক্ষাঘাতগ্রস্তদের নিজের পায়ে দাঁড় করানোই পরবর্তী পরিকল্পনা। যার মস্তিষ্কে চিপটি বসানো হয়েছে, মাউসে অল্প কিছু ক্লিক করতে পারেন তিনি, সেটা এখন পর্যবেক্ষণ করে দেখছে নিউরালিঙ্কের কর্মকর্তারা। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা নিউরালিঙ্কের নিরাপত্তা প্রোটোকল আরও যথাযথভাবে পর্যবেক্ষণের দাবি দাবি তুলেছেন।