চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করেছে ভারতের মহাকাশযান চন্দ্রযান-৩। শুধু এটিই নয়, সম্প্রতিকালে দ্য ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (ইসরো) সফলতার নেপথ্যে যার নামটি বারংবার উঠে আসে তিনি হলেন ঋতু কারিধাল শ্রীভাস্তব। ভারতের ‘রকেট ওমেন’ নামেও পরিচিত তিনি।
চন্দ্রযান-৩ মিশন ছিল চাঁদে ইসরোর অবতরণের দ্বিতীয় প্রচেষ্টা। এর আগে ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়েছিল। এ ব্যর্থতা থেকে চন্দ্রযান-৩ এর সফলতা পুরোটা পথে নেতৃত্ব দিয়েছেন ভারতের এই রকেট ওমেন।
ঋতু কারিধাল, ইসরোর একজন জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী। চন্দ্রযান-৩ মিশনের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। এর আগে চন্দ্রযান-২ এর মিশন ডিরেক্টর ও ভারতের মার্স অরবিটার মিশন- মঙ্গলযানের ডেপুটি অপারেশনস ডিরেক্টরও ছিলেন তিনি।
ভারতের উত্তর প্রদেশের, লখনৌয়ে ১৯৭৫ সালে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম ও সেখানেই বেড়ে ওঠা ঋতু। জীবনে অর্থাভাবে গৃহশিক্ষকদের কাছে গিয়ে পড়তে পারেননি তিনি। তবে শৈশব থেকেই তাঁর পরিবারের সদস্যরা উপলব্ধি করতে পেরেছেন মহাকাশ নিয়ে তাঁর অধীর আগ্রহের কথা।
তিনি আকাশের দিকে তাকিয়ে চাঁদের আকৃতি পরিবর্তন ও মহাকাশের অন্ধকার-অজানা অংশকে জানতে মরিয়া হয়ে থাকতেন। কেটে সংগ্রহ করতেন সংবাদপত্রে মহাকাশ নিয়ে প্রকাশ পাওয়া সব কলাম।
ঋতু, লখনৌ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে পিএইচডি কোর্স শুরু করলেও ১৯৯৭ সালে ইসরোতে কাজ করতে শুরু করেন। তখন সেখানে কাজের পাশাপাশি পিএইচডি করার নিয়ম না থাকায় ছেড়ে দেন পিএইচডি। পুরোদমে শুরু করেন মহাকাশ নিয়ে গবেষণা।
এ পর্যন্ত অনেক পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি। বিজ্ঞানী এ পি জে আব্দুল কালামের হাতে ২০০৭ সালে পেয়েছেন ‘ইয়ং সায়েন্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড’।
এছাড়াও ‘ইসরো টিম অ্যাওয়ার্ড’, ‘এএসআই টিম অ্যাওয়ার্ড’সহ আরও বেশ কিছু পুরস্কার পেয়েছেন এই মহাকাশ বিজ্ঞানী।