‘অপব্যবহারে’ সামাজিক সম্প্রীতি ও সদ্ভাব নষ্ট হওয়ার কারণ দেখিয়ে জনপ্রিয় ভিডিও অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধ করেছে নেপাল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যে আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ হয়েছে টিকটক। নিরাপত্তার ঝুঁকির বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এসব দেশ এই পদক্ষেপ নেয়।
নেপালের স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত চার বছরে নেপালে টিকটক নিয়ে ১ হাজার ৬০০ সাইবার মামলা হয়েছে। নেপালের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান পুরুষোত্তম খানাল বলেন, অ্যাপটি বন্ধ করার জন্য নেপালের ইন্টারনেট সেবাদাতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নেপালের যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী রেখা শর্মা বলেছেন, গত সোমবার মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে টিকটককে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রযুক্তিগতভাবে এটি বন্ধ করার জন্য কাজ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে টিকটিকের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে কোম্পানিটি আগে বলেছে, এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা ‘বিভ্রান্তিকর’ এবং সেগুলো ‘ভুল ধারণার’ ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়।
এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন নেপালের বিরোধী দলের নেতারা । এই সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে তাঁরা বলছেন, এর মধ্য দিয়ে সরকারে ‘অপরিপক্বতা ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতার’ প্রকাশ ঘটেছে।
প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির (ইউনিফাইড মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী) সিনিয়র নেতা প্রদীপ গাওয়ালি বলেছেন, অন্য সোশ্যাল মিডিয়ায়ও অনেক ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে। তাই এসব অ্যাপ নিষিদ্ধ না করে কড়াকড়ি আরোপ করা যেতে পারে।
২০২০ সালে টিকটকসহ চীনের তৈরি অন্যান্য অ্যাপের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় নেপালের প্রতিবেশী দেশ ভারত। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ভারত এই পদক্ষেপ নেয়।
‘অনৈতিক’ ও ‘অশ্লীল’ কনটেন্টের জন্য পাকিস্তানের সরকার অ্যাপটিকে অন্তত চারবার নিষিদ্ধ করেছে।