মঙ্গলের মাটি ছুঁল নাসার মিনি হেলিকপ্টার ‘ইনজেনুইটি’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

এপ্রিল ৮, ২০২১, ১২:২৮ এএম

মঙ্গলের মাটি ছুঁল নাসার মিনি হেলিকপ্টার ‘ইনজেনুইটি’

নির্ধারিত সময়ের আগেই মঙ্গলের মাটি ছুঁয়েছে নাসার পাঠানো হেলিকপ্টারইনজেনুইটি মঙ্গলের অজানা দিকগুলি ঘুরে দেখতেই নাসার পাঠানো রোভারপারসেভেব়্যান্সে সাথে এই ইনজেনুইটিকে পাঠানো হয়েছে।

নাসার জেট প্রপিউলেশন ল্যাবরেটরির পক্ষ থেকে শনিবার টুইটে জানানো হয়েছে, প্রায় ২৯৩ মিলিয়ন মাইল (৪৭১ মিলিয়ন কিমি ) যাত্রা করে নাসার পারসেভেব়্যান্স  রোভার রবিবার তার পেট থেকে ইঞ্চি (১০ সেমি) নীচে ড্রপ করে তার যাত্রা শেষ করেছে। 

১১ এপ্রিল অবতরণের কথা থাকলেও সময়ের আগেই মঙ্গলের  মাটি ছুঁয়েছে ইনজেনুয়িটি। পৃথিবীর মাটির চেয়ে মঙ্গলের মাটিতে উড়ে যাওয়া অনেক বেশি কঠিন। এর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পৃথিবীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। এছাড়া এর বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মাত্র শতাংশ।

পৃথিবীর তুলনায় মঙ্গলে প্রায় অর্ধেক পরিমাণ সৌরশক্তি প্রাপ্ত হয়। রাতের তাপমাত্রা মাইনাস ১৩০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা মাইনাস ৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছয়। যদিও এর মধ্যে থাকা হিটার ৪৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় রাখলেও  মঙ্গলের রাতের তাপমাত্রা নিয়ে চিন্তার কারণ রয়েছে।

মঙ্গলের পরিবেশে ওড়ার জন্য এই হেলিকপ্টারকে অবশ্যই হালকা ওজনের হতে হবে। মঙ্গলের রাতের তাপমাত্রায় যান্ত্রিক গোলযোগ যাতে না হয় তার জন্য এর ভিতরে থাকা হিটারেও এনার্জি থাকতে হবে।

এত সব প্রতিবন্ধকতা উতড়ে ইনজেনুইটি ভালো ভাবেই তার যাত্রার প্রথম ধাপে সফল হয়েছে। 

উল্লেখ্য, এর আগে নাসার বিজ্ঞানীরা পৃথিবী ছাড়া অন্য কোনো গ্রহে তাদের রোটরক্র্যাফট বা ড্রোন হেলিকপ্টার পাঠায়নি। যদি ইনজেনুয়িটির পরীক্ষামূলক অভিযান সফল হয় তবে আগামিদিনেও অন্যান্য গ্রহে পরীক্ষা চালানোর জন্য যান পাঠাবে নাসা।

 

 

 

Link copied!