স্পেসএক্স তৈরি করবে চন্দ্রাভিযানের মহাকাশযান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

এপ্রিল ১৮, ২০২১, ০৭:০১ পিএম

স্পেসএক্স তৈরি করবে চন্দ্রাভিযানের মহাকাশযান

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা তার আগামী চন্দ্রাভিযানে ব্যবহৃত মহাকাশযান নির্মাণের দায়িত্ব দিয়েছে এলন মাস্কের  রকেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স-কে।

নাসার ‘আর্তেমিস মুন ল্যান্ডার’ প্রকল্পের অধীনে এই মহাকাশযান তেরির জন্য স্পেসএক্সের সঙ্গে প্রায় ২৮৯ কোটি ডলারের চুক্তি করেছে নাসা।

১৯৭২ সালের পর এই প্রথম চন্দ্রাভিযানের ঘোষণা দেয় নাসা।

শুক্রবার(১৬ এপ্রিল) নাসা এক ঘোষণায় জানায়, প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে ‘আর্তেমিস মুন ল্যান্ডার’ চুক্তি জিতে নিয়েছে এলন মাস্কের ‘স্পেসএক্স’। মাস্ক এবার অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা বিলিয়নেয়ার জেফ বেজোসের ‘ব্লু অরিজিন’কে হারিয়ে এ সুযোগ পেয়েছে।

নাসা এর আগে দুই বা ততোধিক প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে একই প্রকল্পের কাজ করালেও এবার স্পেসএক্স  একাই এই মহাকাশযানটি বানাবে।

নাসার ঘোষণার পর স্পেসএক্সের জেষ্ঠ্য এক কর্মকর্তা ক্যাসে ড্রায়ার এই টুইট বার্তায় বলেন, ‘স্পেসএক্সকে অভিনন্দন। তবে সত্যি বলতে আমি আজ বিহ্ববলিত। আমি ভাবতেই পারছিনা,নাসা এত বড় একটা কাজের সুযোগ শুধুমাত্র স্পেসএক্সকে দিয়েছে।’

এসময় তিনি আরও বলেন,‘অবশ্যই স্পেসএক্স প্রতিনিয়ত নিজেকে উন্নত করে যোগ্য করে গড়ে তুলছে। এবং তাকে দেওয়া দায়িত্বের শতভাগ পালনের চেষ্টা করবে স্পেসএক্স।’  

 

নাসার ধারণামতে চলতি দশকের শেষ দিকেই চাঁদে মানুষ পাঠাতে পারবে তারা। এসব নভোচারীদের মধ্যে একজন নারীও থাকবেন যিনি হবেন চাঁদের বুকে অবতরণকারী প্রথম নারী।

ওই অভিযানের আরো একটি লক্ষ্য হচ্ছে চাঁদে অবতরণকারীদের মধ্যে একজন অশ্বেতাঙ্গ নভোচারী রাখা।স্পেসএক্স যে চন্দ্রযানটি তৈরি করবে তা তাদের ‘স্টারশিপ’ নামের মহাকাশযানের ডিজাইনের ওপর ভিত্তি করেই তৈরি হবে। এই স্টারশিপ এখন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

এলন মাস্কের কোম্পানি বহুদিন ধরেই স্টারশিপ নামের মহাকাশগামী রকেট-যান তৈরির কর্মসূচি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

নাসার সঙ্গে করা বর্তমান চুক্তিটি স্পেসএক্সের জন্য বড় মাপের একটি অর্জন। এরই মধ্যে নাসার সঙ্গে মিলে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে নভোচারী আনা-নেওয়ার কাজ করছে সংস্থাটি। এপ্রিলের ২২ তারিখেই এ প্রকল্পের পরবর্তী মিশন সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।

মানুষ চাঁদে শেষবার গিয়েছিল ১৯৭২ সালে। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপোলো কর্মসূচী বন্ধ হওয়ার মধ্য দিয়ে সে অধ্যায়ের ইতি ঘটে। ফলে ১৯৭২ সালের পর প্রথম চাঁদে মানুষ নিয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠান হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে গেল স্পেসএক্স।

সূত্র: গার্ডিয়ান, বিবিসি।

Link copied!