টি-টোয়েন্টি নিয়ে তামিমের পরিকল্পনা কেউ জানতে চায়নি। এ নিয়ে আক্ষেপ তামিমের। এরই মধ্যে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, তামিমের সাথে কয়েকবার কথা হয়েছে।
ইংরেজি ক্রিকেটের ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে পাপন বলেন, ‘তামিমের সাথে টি-টোয়েন্টি নিয়ে কথা হয়নি এটা স্রেফ মিথ্যা কথা। আমার বাসায় ডেকে আমি ওকে চারবার টি-টোয়েন্টি খেলার অনুরোধ করেছি। ক্রিকেট বোর্ডের অন্য সদস্যরাও অনুরোধ করেছে। সে বলেছে খেলবে না। এখন দেখেন কি বললো!’
তামিমের এমন বক্তব্যে রীতিমতো ক্ষুব্ধ বিসিবি বস, ‘তামিমকে অনেকবার ফেরানোর চেষ্টা করা হলেও সে লিখিত দিয়ে বলেছে টি-টোয়েন্টি খেলবে না। আমি বুঝতে পারছি না সমস্যাটা কোথায়? সে যা বলে তাকে বলতে দিন। এই বিষয়ে আমাদের যা প্রমাণ আছে আমরা তা হাজির করবো।’
এর আগে সংবাদমাধ্যমকে তামিম বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি নিয়ে আমার যে পরিকল্পনা, সেটা নিয়ে তো কিছু বলারই সুযোগ দেওয়া হয় না। আমি কি চিন্তা করি বা না করি সেটা আমার মুখ থেকে শোনা উচিত। আমার মনে হয়, এটা আমি ডিজার্ভ করি।’
এরপর তামিম স্ট্যাটাস দিয়েছেন ফেসবুকে। সেখানে তিনি লিখেছেন,‘আমার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি কথার সূত্র ধরে অনেকে বিভ্রান্ত হচ্ছেন বা মিডিয়ায় কিছু বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে দেখতে পাচ্ছি। দুই দিন আগে একটি অনুষ্ঠানে আমি স্পষ্ট করে বলেছি, আমার ঘোষণা আমি দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছি না, অন্যরাই নানা কিছু বলে দিচ্ছে। এখানে বোর্ড কমিউনিকেট করেনি বা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি, এরকম কোনো কথা আমি একবারও বলিনি।
বোর্ড থেকে কয়েকবারই আমার সঙ্গে আলোচনা করেছে টি-টোয়েন্টি নিয়ে। আমি ৬ মাসের বিরতি নিয়েছি বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে। এরপরও বোর্ডের সঙ্গে কথা হয়েছে কয়েক দফায়। এটা নিয়ে কোনো প্রশ্ন আমি কখনোই তুলিনি।
আমি সেদিন অনুষ্ঠানে যা বলেছি, আজকে আবার বলছি, “টি-টোয়েন্টি নিয়ে আমার যে প্ল্যান, সেটা তো আমাকে বলার সুযোগই দেওয়া হয় না। হয় আপনারা (মিডিয়া) বলে দেন, নয়তো অন্য কেউ বলে দেয়। তো এভাবেই চলতে থাকুক। আমাকে তো বলার সুযোগ দেওয়া হয় না। এতদিন ধরে আমি ক্রিকেট খেলি, এটা ডিজার্ভ করি যে আমি কী চিন্তা করি না করি, এটা আমার মুখ থেকে শোনা। কিন্তু হয় আপনারা কোনো ধারণা দিয়ে দেন, নয়তো অন্য কেউ এসে বলে দেয়। যখন বলেই দেয়, তখন আমার তো কিছু বলার নেই।”
এটুকুই বলেছিলাম। এখানে কি উল্লেখ আছে যে কেউ যোগাযোগ করেনি? এরকম কোনো শব্দ বা ইঙ্গিত আছে? খুবই সাধারণ ভাষায় বলেছি, আমার কথা আমাকে বলতে দেওয়া হচ্ছে না। ৬ মাসের বিরতি নিয়েছি, এর মধ্যেও মিডিয়া নানা কথা লিখে বা বলে যাচ্ছে, অন্যরাও কথা বলেই যাচ্ছেন।
বোর্ডের সঙ্গে আমার যোগাযোগ নিয়মিতই আছে এবং তারা খুব ভালোভাবেই জানে, টি-টোয়েন্টি নিয়ে আমার ভাবনা কোনটি। আমি স্রেফ নিজে সেই কথাটুকু বলতে চাই, সেই সময়টুকু চাই।
সময় হলে আমার সিদ্ধান্ত নিশ্চয়ই আমি জানাব। ৬ মাস হতে তো এখনও দেড় মাসের বেশি বাকি। কিন্তু সেই সময়টার অপেক্ষা কেউ করছে না। এটাই দুঃখজনক।