বেটা
জানা গেছে, চুক্তিতে সর্বোচ্চ বেতন সাকিবের।
একটি ম্যাচ খেলে কত টাকা পায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের বেতনই বা কত? আপনি জানলে অবাক হবেন যে টেস্ট খেলুড়ে ১২ দলের সর্বোচ্চ বেতন হিসেবে বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে শুধু জিম্বাবুয়ে ও আফগানিস্তান।
ক্রিকেটে খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম ধনী ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি। নানা সময়ে, নানা উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে বিসিবির তরল সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৯০০ কোটি টাকা। ফলে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের বিসিবি কত বেতন দিয়ে থাকে, তা নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই সাধারণের।
বিসিবির নিয়মানুযায়ী সর্বোচ্চ শ্রেণী এ প্লাস ক্যাটাগরিতে টেস্টে বেতন সাড়ে ৪ লাখ টাকা। ওয়ানডেতে ৪ লাখ টাকা এবং টি-টোয়েন্টিতে ২ লাখ টাকা। সর্বনিম্ন সি ক্যাটাগরিতে বেতন ১ লাখ টাকা। তিন ফরম্যাটে এ প্লাস গ্রেডের বেতন নির্ধারণে প্রথম ক্যাটাগরির শতভাগ, দ্বিতীয় ক্যাটাগরির পঞ্চাশ ভাগ এবং তৃতীয় ক্যাটাগরির চল্লিশ ভাগ বেতন পায় ক্রিকেটাররা। তবে দুই কিংবা এক ফরম্যাটে গ্রেডিং অনুযায়ী সর্বোচ্চ বেতন পাবেন চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটাররা।
চুক্তিতে সর্বোচ্চ বেতন সাকিবের। তিন ফরম্যাটে থাকা সাকিবের মাসিক বেতন ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সেই সাথে তিন ফরম্যাটে অধিনায়ক হওয়ায় তার সাথে যুক্ত হবে আরো ৪০ হাজার টাকা। সাকিবের পর এই তালিকায় রয়েছেন তামিম ইকবাল। তার বেতনের পরিমাণ ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা। আর সর্বনিম্ন ক্যাটাগরিতে প্রথমবার বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আসা হাসান মাহমুদ ও জাকির হাসান পায় ১ লাখ টাকা।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড ভারতের। তিন ফরম্যাটে খেলা রোহিত শর্মা-ভিরাট কোহলিরা মাসে পান ৭৫ লাখ টাকা। তবে এটাই ক্রিকেটার হিসেবে সবেচেয়ে বেশি বেতনের নজির নয়।
নিউ জিল্যান্ডের সর্বোচ্চ ক্যাটাগরির ক্রিকেটাররা বেতন পান ৩০ লাখ টাকা করে। সর্বনিম্ন বেতনও ২০ লাখ টাকার বেশি। দক্ষিণ আফ্রিকার এ গ্রেডের বেতন ১৭ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। নানা দেশের ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে দাপট দেখানো ক্যারিবিয়ানদের বেতনও কম নয়। সর্বোচ্চ ক্যাটাগরির ক্রিকেটার পান ১৩ লাখ টাকারও বেশি। পিসিবি থেকে সর্বোচ্চ বেতন পান বাবর আজম, প্রতি মাসে পান ১০ লাখ টাকা। শ্রীলঙ্কার দিমুথ করুণারত্নে ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা পান ৯ লাখ টাকা।
তবে বেতন ও সুযোগ-সুবিধায় সবার উপরে ক্রিকেটের দুই মোড়ল অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। দুই দেশের ক্রিকেটারদের বেতন শুনলে কপালে চোখ উঠবে আপনার। এই ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ড থেকে প্রতি মাসে ১ কোটি ১ লাখ টাকা বেতন পান অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। আর অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের বেতন ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। যা টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের থেকে ২২ গুণ বেশি।
বেতন বাদেও ক্রিকেটারদের আয়ের আরেকটি উৎস ম্যাচ ফি। বাংলাদেশের কোন খেলোয়াড় টেস্ট ম্যাচ খেললে তার পকেটে যায় ৬ লাখ টাকা। ওয়ানডে ম্যাচ খেললে পায় ৩ লাখ টাকা। আর তিন ঘণ্টার জমজমাট একটি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলে পায় ২ লাখ টাকা।
-20240503123538.jpg)
