আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে নেদারল্যান্ডসের আপসেট

স্পোর্টস ডেস্ক

অক্টোবর ১৭, ২০২৩, ১১:৩৮ পিএম

দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে নেদারল্যান্ডসের আপসেট

আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপে আরেকটি আপসেট দেখল । ধর্মশালায় এবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দিয়েছে বাছাই খেলে আসা নেদারল্যান্ডস। আফগানিস্তান যেমন ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চমকে দেয় ক্রিকেট বিশ্বকে। তেমনই অবাক হওয়ার মত ব্যাপারই ঘটেছে। 

বৃষ্টির জন্য কমে ৪৩ ওভারের খেলা। আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৪৫ রান সংগ্রহ করে নেদারল্যান্ডস। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ২০৭ রানে থেমেছে। ৩৮ রানের জয় কমলা বিপ্লবী দেশটির। 

২০২২ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল নেদারল্যান্ডস। এবার ওয়ানডে বিশ্বকাপে জয় তুলে নিল তারা। 

অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসের দুর্দান্ত হাফ-সেঞ্চুরির সাথে লোয়ার অর্ডারে বিভিন্ন জুটিতে ১৩৭ বলে ১৬৩ রান যোগ হওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৪৩ ওভারে ২৪৫ রান করে নেদারল্যান্ডস। এডওয়ার্ডস ৬৯ বলে অপরাজিত ৭৮ রান করেন। জবাবে নেদারল্যান্ডসের বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ২০৭ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। এই প্রথম ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারালো নেদারল্যান্ডস। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরে সেমিফাইনালে উঠার সুর্বন সুযোগ হাতছাড়া করেছিলো দক্ষিণ আফ্রিকা।
ধর্মশালায় বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের দুই দুই ঘন্টা পর শুরু হওয়ায় ৪৩ ওভারে নামিয়ে আনা ম্যাচে  টস জিতে নেদারল্যান্ডসকে প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমনন্ত্রন জানায় দক্ষিণ আফ্রিকা। 

৮২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে নেদারল্যান্ডস। এরপর ষষ্ঠ থেকে নবম উইকেট পর্যন্ত লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের সাথে জুটি বেঁধে ১৩৭ বল মোকাবেলা করে ১৬৩ রান যোগ করেন অধিনায়ক এডওয়ার্ডস। ষষ্ঠ উইকেটে তেজা নিদামানুরুর সাথে ৪০ বলে ৩০, সপ্তম উইকেটে লোগান ফন বিকের সাথে ৪১ বলে ২৮, অষ্টম উইকেটে রোলফ ফন ডার মারুকে নিয়ে ৩৭ বলে ঝড়ো গতিতে  ৬৪ রান এবং নবম উইকেটে আরিয়ান দত্তকে নিয়ে ১৯ বলে অবিচ্ছিন্ন ৪১ রান যোগ তুলেন এডওয়ার্ডস। এতে ৪৩ ওভারে ৮ উইকেটে ২৪৫ রানের বড় সংগ্রহ পায় নেদারল্যান্ডস।

২৪৬ রানের টার্গেটে দলকে ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা ও কুইন্টন ডি কক। ৮ ওভারে ৩৬ রান যোগ করে বিচ্ছিন্ন হন তারা। আগের দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করা ডি কককে ২০ রানে থামান স্পিনার অ্যাকারম্যান।
ছয় বল পর ১৬ রান করা বাভুমাকে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন স্পিনার মারু। এরপর ১১তম ওভারে আইডেন মার্করামকে ১ রানে পেসার পল ফন মিকেরেন এবং পরের ওভারে রাসি ভ্যান ডার ডুসেনকে ৪ রানে মারু শিকার করেন। এতে ৪৪ রানে চতুর্থ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২১ বল ও ৮ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা।
শুরুর ধাক্কা সামলে উঠতে পঞ্চম উইকেটে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন করেন ডেভিড মিলার ও হেনরিচ ক্লাসেন। ৪৫ বলে ৪৫ রান যোগ হবার পর এই জুটি ভেঙ্গে নেদারল্যান্ডসকে ব্রেক থ্রু এনে দেন পেসার বিক। ২৮ বলে ২৮ রান করা ক্লাসেনকে শিকার করেন বিক। ২৫তম ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে জানসেনকে ৯ রানে ফিরিয়ে  দেন মিকেরেন।
দলীয় ১০৯ রানে দক্ষিণ আফ্রিকার ষষ্ঠ উইকেট তুলে নিয়েও স্বস্তিতে ছিলো না নেদারল্যান্ডস। কারন তখনও উইকেটে ছিলেন ২৩ রানে ক্যাচ দিয়ে লিডের হাতে জীবন পাওয়া মিলার। ৩১তম ওভারে ডাচদের চিন্তা দূর করেন বিক। ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৩ রান করা মিলারকে বোল্ড করেন বিক।
দলীয় ১৪৫ রানে মিলার ফেরার পর শেষ পর্যন্ত ১ বল বাকী থাকতে ২০৭ রানে অলআউট হয়ে ম্যাচ হারে দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষদিকে কেশব মহারাজ ৪০ রান করে দলের হারের ব্যবধান কমান। নেদারল্যান্ডসের বিক ৬০ রানে ৩ উইকেট নেন।

 

 

 

Link copied!