জুলাই ৩, ২০২১, ১০:৫০ পিএম
যারা করোনার টিকা নেননি, তারা শুধু নিজেদেরই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলেননি। আক্রান্ত হলে তারা সবার জন্যই ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ান। তাদের একেক জনের দেহ তখন নতুন ধরনের করোনার কারখানায় পরিণত হয়। সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে সিএনএন এ তথ্য দিয়েছে।
শুক্রবার (২ জুলাই) ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল সেন্টারের সংক্রামক রোগ শাখার অধ্যাপক উইলিয়াম শ্যাফনার সিএনএনকে বলেন, ‘টিকা না নেওয়া মানুষেরা ভ্যারিয়েন্ট কারখানা। টিকা না নেওয়া যত বেশি মানুষ থাকবেন ভাইরাসের বংশবৃদ্ধির সুযোগ তত বাড়বে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন বংশবৃদ্ধি ঘটে তখন ধরনও পাল্টায়। এই প্রক্রিয়ায় এমন ভ্যারিয়েন্ট চলে আসতে পারে যা এখনকার সবগুলোর চেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর।’
সব ভাইরাসই ধরন পাল্টায়। শুধু করোনাভাইরাসই ধরন পাল্টাচ্ছে এমন না। এটিও বদলাচ্ছে এবং খাপ খাইয়ে নিচ্ছে। বেশিরভাগ পরিবর্তন তেমন গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় এতে ভাইরাস দুর্বলও হয়ে পড়ে। কিন্তু কখনও ভাইরাসের মিউটেশন তাকে সুবিধা দেয়, আগের চেয়ে বেশি সংক্রামক বা কার্যকরভাবে প্রতিলিপি তৈরি কিংবা হোস্টকে ভয়াবহভাবে আক্রান্ত করতে পারে।
এমন সুবিধা পাওয়া ভাইরাস অন্য ধরনগুলোকে পেছনে ফেলে বেশিরভাগ মানুষকে আক্রান্ত করে। কোনও আক্রান্ত ব্যক্তি দ্বারা অন্যকে সংক্রমিত করেন তখন তার দেহ মিউট্যান্ট সংস্করণও যায়। যখন ভাইরাসের কোনও মিউট্যান্ট এমন সাফল্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পায় তখন তা ভ্যারিয়েন্টে পরিণত হয়। কিন্তু এটিকে প্রতিলিপি তৈরি করতে হয়। আর এক্ষেত্রে টিকা না নেওয়া মানুষেরা সেই সুযোগ তৈরি করে দেন।
গত মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে বলেছিল, আমরা ভাইরাসকে যত ছড়াতে দিচ্ছে ততই তা পরিবর্তনের সুযোগ পাচ্ছে।