চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ৫ শিক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১, ০৪:১০ পিএম

চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ৫ শিক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বাহাদুরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঁচজন শিক্ষার্থী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে তাই ওই দুই শ্রেণির ক্লাস বন্ধ রেখেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারহানা পারভিন।

এর আগে গত সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চতুর্থ শ্রেণির দুইজন ও পঞ্চম শ্রেণির তিনজন ছাত্রীর করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা দেওয়া হয়। মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) নমুনা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাদের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।

আক্রান্তদের মধ্যে দুইজন চতুর্থ শ্রেণির ও তিনজন পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাদের বয়স ১০ থেকে ১২ বছরের মধ্যে। তারা সবাই মেয়ে শিক্ষার্থী।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফারহানা পারভিন বলেন,‘আমার বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৪২৬ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। এর মধ্যে চতুর্থ শ্রেণিতে রয়েছে ৮৪ জন ও পঞ্চম শ্রেণিতে রয়েছে ৭৬ জন ছাত্র-ছাত্রী। গত বৃহস্পতিবার কোভিড আক্রান্ত চতুর্থ শ্রেণির দুইজন ও পঞ্চম শ্রেণির তিনজন ছাত্রী ক্লাসে উপস্থিত ছিল। কিন্তু সেদিন তাদের মধ্যে কোভিডের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।’

তিনি বলেন, ‘বিদ্যালয় থেকে যাওয়ার পর ঠাকুরগাঁও সরকারি শিশু পরিবার বালিকা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে খোঁজখবর নেওয়া হয় ছাত্রীদের। এ সময় সরকারি শিশু পরিবার বালিকা কর্তৃপক্ষ জানায় তাদের ওখানে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া কয়েকজন শিক্ষার্থী জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হয়েছে। এরপর থেকে আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের বিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর রাখতে শুরু করি। এছাড়াও বিদ্যালয় খোলার পর থেকে আমরা নিয়মিত প্রত্যেকটি ছাত্র-ছাত্রীর খোঁজ খবর রাখছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত মঙ্গলবার খোঁজ নিলে সরকারি শিশু পরিবার বালিকা কর্তৃপক্ষ জানায় আমাদের স্কুলে পড়ুয়া চতুর্থ শ্রেণির দুইজন ও পঞ্চম শ্রেণির তিনজন ছাত্রী জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হয়েছে। সেদিন তাদের কোভিডের নমুনা দেওয়া হয় পরীক্ষার জন্য। বুধবার আমরা জানতে পারি আমাদের স্কুলে পড়ুয়া চতুর্থ শ্রেণির দুইজন ও পঞ্চম শ্রেণির তিনজন ছাত্রী কোভিডে আক্রান্ত হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মৌখিক নির্দেশে আপাতত চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান বন্ধ করা হয়েছে এবং প্রথম শ্রেণি থেকে তৃতীয় শ্রেণির পাঠদান কার্যক্রম সচল রয়েছে।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘উপজেলার প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বজায় রেখে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। আমরা সব বিদ্যালয়গুলোকে সার্বক্ষণিক তদারকি করছি। স্কুলে আশা শিক্ষার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা পরিমাণ করা হচ্ছে। যদি কোন শিক্ষার্থীর করোনার লক্ষণ দেওয়া যায় তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে তার নমুনা পরীক্ষা করছি।’

তিনি বলেন, ‘যেসব বিদ্যালয়ের শ্রেণির শিক্ষার্থীরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছে, আমরা তাৎক্ষণিক সেসব শ্রেণির ক্লাস বন্ধ রেখেছি এবং তাদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।’

Link copied!