করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা আবারও বাড়তে শুরু করেছে। পাশাপাশি বেড়ে গেছে শনাক্তের সংখ্যাও।শনিবার (১ জানুয়ারি) থেকে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ৫৪ লাখ ৫২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। শনাক্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৮ কোটি ৮৫ লাখ। করোনা থেকে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন প্রায় ২৫ কোটি ৩৬ লাখের বেশি লোক। বিশ্বে করোনায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৯৩ লাখ ৭২ হাজার ৬৫৩ জন।
করোনায় মৃত্যু
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্য অনুযায়ি, শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময়) সারাবিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট ৫৪ লাখ ৫২ হাজার ৯০০ জন মারা গেছেন। শুক্রবার পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ৫৪ লাখ ৪৭ হাজার ২৯৪। এই হিসেবে মঙ্গলবার গত ২৪ ঘন্টায় ৫ হাজার ৬০৬ জন মারা গেছেন।
করোনায় শনাক্ত
ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্য অনুযায়ি শনিবার পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২৮ কোটি ৮৫ লাখ ১৩ হাজার ২৬৫ জন। গতকাল শুক্রবার এই সংখ্যা ছিল ২৮ কোটি ১৬৯ লাখ ৮৬ হাজার ৭৬৩। এই হিসেবে শনিবার গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ২৬ হাজার ৫০৩ জন।
করোনা থেকে সুস্থ
ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্য অনুযায়ি শনিবার পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৫ কোটি ৩৬ লাখ ৮৭ হাজার ৭১৩ জন। শনিবার পর্যন্ত বিশ্বে করোনার সক্রিয় রোগী রয়েছে ২ কোটি ৯৩ লাখ ৭২ হাজার ৬৫৩ জন। এর মধ্যে গুরুতর অবস্থায় রয়েছে ৮৯ হাজার ৮৪৯ জন।
করোনায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন ইউরোপের জনগণ। শনিবার গত ২৪ ঘন্টায় ফ্রান্সে নতুন আক্রান্ত ২ লাখ ৩২ হাজার ২০০ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ১৮৯ জনের। যুক্তরাজ্য ১ লাখ ৮৯ হাজার ৮৪৬ জন আক্রান্ত ও ২০৩ জন মারা গেছেন।ইতালিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪৪ হাজার ২৪৩ জন আর মারা গেছেন ১৫৫ জন। তুরস্কে ৪০ হাজার ৭৮৬ জন আক্রান্ত ও মৃত্যু ১৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে), গ্রিসে করোনায় ৪০ হাজার ৫৬০ জন শনাক্ত ও মৃত্যু ৮২। জার্মানিতে ২৪৪ জন মারা গেছেন। আর আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩৩ হাজার ৪৬৬ জন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ১৮৯টি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গত বছরের ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে ‘মহামারি’ ঘোষণা করে।