সোমবার থেকে সীমিত এবং বৃহস্পতিবার থেকে সর্বাত্মক লকডাউন

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুন ২৬, ২০২১, ১০:৪৭ পিএম

সোমবার থেকে সীমিত এবং বৃহস্পতিবার থেকে সর্বাত্মক লকডাউন

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আগামী সোমবার থেকে ‘সীমিত পরিসরে লকডাউন’ দিয়েছে সরকার। এরপর আগামী বৃহস্পতিবার (১জুলাই) থেকে সাত দিনের জন্য ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হবে।

শনিবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার শনিবার রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা যায়, ‘সীমিত পরিসরে লকডাউনে’ গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। এ ছাড়া অন্যান্য কিছু প্রতিষ্ঠানও সীমিত পরিসরে চালু থাকবে। এছাড়াও সর্বাত্মক লকডাউনের সময়েও শিল্প কলকারখানা লকডাউনের আওতার বাইরে রাখা হতে পারে। রপ্তানিমুখী কার্যক্রম সচল রাখার স্বার্থে ব্যাংকিং সেবাও চালু রাখা হতে পারে।

সুরথ কুমার সরকার বলেন, ‘সোমবার (২৮ জুন) থেকে সীমিত পরিসরে লকডাউন হবে। তখন আন্তঃজেলা পরিবহন বন্ধ থাকবে। জুন ক্লোজিংয়ের (আর্থিক বছরের সমাপ্তির হিসাব-নিকাশ) জন্য ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে সর্বাত্মক লকডাউন হবে। তখন সবকিছু বন্ধ থাকবে। আগামীকাল রবিবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। সেখানে বিস্তারিত বলা থাকবে।’

এর আগে শুক্রবার (২৫ জুন) রাতে প্রধান তথ্য কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, সোমবার (২৮ জুন) থেকে পরবর্তীতে সাত দিন কঠোর লকডাউন পালন করা হবে। এ সময় জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব সরকারি, বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। জরুরি পণ্যবাহী যান ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত যানবাহন চলাচল করতে পারবে।’

এতে আরও বলা হয়, ‘জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবেন না। গণমাধ্যম লকডাউনের আওতা বহির্ভূত থাকবে। শনিবার (২৬ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আদেশ জারি করা হবে।’

তবে আজ বিস্তারিত আদেশের বদলে নতুন এ সিদ্ধান্ত এলো। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লকডাউনে জরুরি সেবা ছাড়া বাকি সব কিছু বন্ধ হয়ে যাবে। এই বিষয়গুলো আগামীকাল (রবিবার) স্পষ্ট করা হবে।

দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে সরকার গত ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল। পরে তা আরও দুই দিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। পরে তা আরও আট দফা বাড়িয়ে আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত করা হয়।

এসবের মধ্যেই গত বুধবার রাতে সভা করে দেশে করোনাভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় সারা দেশে কমপক্ষে ১৪ দিন সম্পূর্ণ ‘শাটডাউন’ বা সবকিছু বন্ধ রাখার সুপারিশ করে করোনাসংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

Link copied!