‘দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ এলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

এপ্রিল ২৬, ২০২১, ১২:১৪ এএম

‘দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ এলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে’

দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ এলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। এছাড়া চলমান পরিস্থিতিতে সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য দেশের প্রতিটি মানুষকে সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

রবিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক তার রাজধানীর বাসভবন থেকে ওই আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

সেসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সময়মতো সরকার লকডাউন ঘোষণা করায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ হয়তো সামনেই কমে যাবে। তবে বর্তমান সময়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণ সম্পর্কে আমরা সচেতন না হলে সামনে আবার করোনার তৃতীয় ঢেউ চলে আসবে এবং তৃতীয় ঢেউ আরো ভয়াবহ হয়ে দেখা দিতে পারে। ​এ কারণে করোনার হাত থেকে বাঁচতে চাইলে, দেশের প্রতিটি মানুষকে করোনা নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘করোনার প্রথম ঢেউ আমরা যথেষ্ট দক্ষতার সাথে সামলে নিয়েছিলাম। ফেব্রুয়ারিতে যখন করোনার মৃত্যু ৩/৪ জনে নেমেছিল তখন মানুষ ভেবেছিল করোনা দেশ থেকে চলে গেছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেও মানুষ অনীহা দেখাচ্ছিল।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আরও বলেন, ‘কক্সবাজার, সিলেটসহ পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ২৫/৩০ লাখ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই ভ্রমণ করেছে। অধিকহারে বিয়ে অনুষ্ঠান, পিকনিকসহ নানা রকম সামাজিক অনুষ্ঠান করা হয়েছে। এসব কারণেই করোনার আমাদের দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। দিনে প্রায় শত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। সময়মতো সরকার বিধিনিষেধ আরোপ করায় আশা করছি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ হয়তো সামনে কমে যাবে।’

আলোচনা সভায় ম্যালেরিয়া প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে মাত্র ২টি জেলা বাদে সকল জেলা থেকে ম্যালেরিয়া নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে। ম্যালেরিয়া এখন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। দেশে ২০০৮ সালের তুলনায় এখন ৯৩ শতাংশ ম্যালেরিয়া রোগী কমেছে এবং ৯৪ শতাংশ মৃত্যু কমেছে। সব মিলিয়ে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যেই দেশ থেকে ম্যালেরিয়া পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব হবে।’

সিডিসির পরিচালক ডা. নাজমুল হাসানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি বিষয়ক) জুয়েনা আজিজ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সেনাল ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধিসহ অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা।

Link copied!