ডায়রিয়ায় আক্রান্তদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যাই বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক

এপ্রিল ১৭, ২০২২, ০২:২১ এএম

ডায়রিয়ায় আক্রান্তদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যাই বেশি

রাজধানী ঢাকায় প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। তবে আক্রান্তদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যাই বেশি। রাজধানীর মহাখালীর আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ(আইসিডিডিআর’বি)  ও ঢাকা শিশু হাসপাতালে এমন চিত্র দেখা গেছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের গত ১ মার্চ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ৪৮ হাজার ডায়রিয়া ও কলেরা রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন আইসিডিডিআর’বি হাসপাতালে।

এই হাসপাতালিটির সহকারী বিজ্ঞানী ডা. শোয়েব বিন ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, “বর্তমানে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমে এসেছে। এখন হাসপাতালে দৈনিক রোগী ভর্তির সংখ্যা হাজারের নিচে নেমেছে। শনিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত ডায়রিয়া আক্রান্ত সাড়ে ৪০০ রোগী ভর্তি হয়েছে।”

ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশু রোগীর ক্রমাগত বেড়ে চলেছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “আগে এই হাসপাতালে আসা মোট রোগীদের মধ্যে শিশু ভর্তির হার ছিল ৩০-৩২ শতাংশ। ‌কিন্তু গতকাল ও আজ শিশু রোগীর হার বেড়ে ৪০ শতাংশে হয়েছে। এসব শিশু‌দের অধিকাংশই আসছে পানিশূন্যতা নিয়ে, যা অত্যন্ত ঝুঁকির কারণ।”

আইসিডিডিআর’বি সূত্র জানায়, মার্চ মাসে হাসপাতালটিতে ৩০ হাজার ৩৭২ জন ডায়রিয় রোগী ভর্তি হয়েছিল। ওই মাসের মাঝ থেকেই রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে।গত ৪ এপ্রিল  তারিখ  একদিনে রেকর্ড সংখ্যক ১ হাজার ৩৮৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন।

অন্যদিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মার্চে মাসে দেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মোট চিকিৎসা নেওয়া রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৭০ হাজার ২৩৭ জন। এর মধ্যে, শুধু রাজধানীতেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হ‌য়ে হাসপাতালে চি‌কিৎসা নিয়েছেন ৩৬ হাজার ৯১২ জন।

ঢাকা শিশু হাসপাতালেও ডায়রিয়ায় আক্রান্তদের মধ্যে  শিশুদের সংখ্যাই বেশি বলে জানালেন আবাসিক চিকিৎসক ডা. নাদিরা খান। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত এই চিকিৎসক গণমাধ্যমে বলেন, “যারা ডায়রিয়ার সমস্যা নিয়ে আসছে, তাদের বয়স ছয় মাস থেকে আড়াই বছরের মধ্যে। হাসপাতালে আসার পর আমরা উপসর্গগুলো দেখে প্রাথমিকভাবে কিছু পরীক্ষা করি। এরপর চার ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। যদি সমস্যা গুরুতর মনে হয়, তবে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়।”

ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ার কারণ হিসেবে তিনি আরও বলেন, “গত এক মাস হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের খাওয়ার পানি থেকে বেশি সমস্যা হয়েছে। অনেকে সরাসরি কলের পানি পান করছে। এসব কারণে শিশুরা ডায়রিয়াজনিত সমস্যায় ভুগছে বেশি।”

Link copied!