তিন গোল দিয়ে সেনেগালের রোমাঞ্চযাত্রা থামিয়ে দিল ইংল্যান্ড

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ডিসেম্বর ৫, ২০২২, ০৯:১৩ এএম

তিন গোল দিয়ে সেনেগালের রোমাঞ্চযাত্রা থামিয়ে দিল ইংল্যান্ড

অভিজ্ঞ ইংল্যান্ডের শুরুর দিকটা ছন্দোময় ছিল না। কিন্তু সেটি খুঁজে পেতে বেশিক্ষণ লাগল না। আচমকা পাওয়া জর্ডান হেন্ডারসনের গোলের পর চেনা রূপে ফিরল তাঁরা। খানিক বাদে গোল খরা কাটালেন হ্যারি কেইনও। সেনেগালকে অনায়াসে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠল গ্যারেথ সাউথগেটের দল।

আল খোরের আল বাইত স্টেডিয়ামে রবিবার রাতে শেষ ষোলোর ম্যাচটি ৩-০ গোলে জিতেছে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয়ার্ধে তাদের তৃতীয় গোলটি করেন বুকায়ো সাকা। এই ম্যাচের মাধ্যমে সিসের দলে রোমাঞ্চযাত্রা এ বিশ্বকাপে শেষ হল।

খেলার শুরুতে দারুণ কয়েকটি পাল্টা-আক্রমণে ইংল্যান্ডের রক্ষণে কাঁপন ধরিয়েছিল সেনেগাল। ভাগ্য খারাপ বলে তাঁরা গোল পায়নি। সেই গোল পেলে উদ্দীপ্ত সেনেগালিজরা অঘটনও ঘটাতে পারতো। কিন্তু সেটি আর হয়নি। অনেকটা হতাশাও হয়তো ঘিরে ধরেছিল তাঁদের। ফলে তাঁরা দ্বিতীয়ার্ধে কোনো লড়াই-ই করতে পারেনি। দুই গোলে এগিয়ে ম্যাচের লাগাম হাতে থাকায় এ সময় কেইনদের মাঝেও ছিল না গোলের জন্য মরিয়া চেষ্টা।

গ্রুপ পর্বে আসরে সর্বোচ্চ ৯ গোল করা ইংল্যান্ড এ দিনও শুরু থেকে বল দখলে রেখে আক্রমণ শাণানোর চেষ্টা করে। যদিও প্রথম ত্রিশ মিনিটে পজেশন রাখতে পারলেও তাদের আক্রমণে কোনো ধার ছিল না।

এই সময়ে গোলের উদ্দেশ্যে তারা একটি মাত্র শট নিতে পারে, সেটা যদিও প্রতিপক্ষকে ভাবাতে পারেনি। বরং ম্যাচের প্রথম ভালো সুযোগ তৈরি করে আফ্রিকান চ্যাম্পিয়নরা।

২৩তম মিনিটে কাছ থেকে বোলায়ে দিয়ার ভলি জন স্টোনসের হাঁটুতে লেগে প্রতিহত হয়। বিপদের ওখানেই শেষ নয়, বল পেয়ে যান ইসমাইলা সার; কিন্তু গোলরক্ষকের চ্যালেঞ্জের মুখে সার খুব কাছ থেকে উড়িয়ে মারলে হাঁফ ছাড়ে ইংল্যান্ড।

এই আক্রমণে নাটকীয়তা ছিল আরও; প্রথম দফায় বল স্টোন্সের পায়ে লেগে তার হাতে লাগলে পেনাল্টির আবেদন করে সেনেগাল। যদিও রেফারি সাড়া দেয়নি, ভিএআরেও বাতিল করে দেওয়া হয়।

৩২তম মিনিটে আবারও ইংল্যান্ডের রক্ষণ ভেঙে বক্সে ঢুকে পড়েন দিয়া, নেন জোরাল শট। এক হাত দিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। দুই দল মিলিয়ে ম্যাচে এটাই ছিল লক্ষ্যে প্রথম শট।

ছয় মিনিট পর লক্ষ্যে নেওয়া প্রথম শটেই এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। কেইনের পাস ধরে বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে উঠে জুড বেলিংহ্যাম বল বাড়ান পেনাল্টি স্পটের কাছে। বিনা বাধায় প্লেসিং শটে অনায়াসে বাকি কাজ সারেন হেন্ডারসন।

গোলের দেখা পেয়ে যেন ছন্দও খুঁজে পায় ইংল্যান্ড। দুই মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারত; কিন্তু ভালো পজিশনে বল পেয়েও জোরাল শটে আকাশে মারেন কেইন।

রাশিয়া বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুট জয়ী কেইন অবশেষে গোলের দেখা পেলেন প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে। এবারের গ্রুপ পর্বে তিনটি অ্যাসিস্ট করা কেইনের বিশ্বকাপে মোট গোল হলো সাতটি। রাশিয়া বিশ্বকাপে আসরের সর্বোচ্চ ৬ গোল করেছিলেন তিনি।

Link copied!