চাকরি পাচ্ছেন সেই আলমগীর কবির

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ২, ২০২২, ০৬:৫৯ পিএম

চাকরি পাচ্ছেন সেই আলমগীর কবির

দুই বেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাওয়া বগুড়ার ‘সেই আলমগীর কবির’ স্বপ্ন আউটলেটে চাকরি পাচ্ছেন। বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী তার জন্য চাকরির ব্যবস্থা করেছেন।

বগুড়া শহরের জহুরুলনগর এলাকায় বসবাস করা ওই যুবকের ভাইরাল এই বিজ্ঞাপন দেখে বুধবার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে তাকে ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে তার সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী। পরে পুলিশ সুপার তাকে চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন।

গণমাধ্যমকে পুলিশ সুপার জানান, “ওই পোস্টারের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আলমগীর কবিরের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে, তার আসলেই চাকরি প্রয়োজন। আবার এটাও ঠিক, এ ধরনের বিজ্ঞাপন দেওয়া কিছুটা হীন মানসিকতার পরিচয়। সে কথাও তাকে বুঝিয়ে বলেছি।”

তিনি বলেন, 'রিটেইল চেইন স্বপ্নের এক কর্মকর্তা বগুড়ায় অন্য একটা কাজে এলে, তাকে আলমগীরের চাকরির বিষয়ে বলি। উনি হেড অফিসের সগ্নে কথা বলেন এতে সম্মতি দেন।'

'আজ ওই কর্মকর্তা আমার অফিসে এসেছিলেন। তিনি আলমগীর কবিরের সঙ্গে কথা বললেন। তার ইন্টারভিউ নিলেন। এরপরেই চাকরি হলো,' যোগ করেন এসপি।

এদিকে চাকরি পেয়ে খুব খুশি আলমগীর কবির। নিয়োগপত্র পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, 'ঢাকার তেজগাঁওয়ে স্বপ্নের অফিসে আমাকে ৭-৮ দিনের মধ্যে যেতে বলা হয়েছে।'

প্রসঙ্গত, জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার বাসিন্দা মো. আলমগীর কবির (৩২) বগুড়া সদর উপজেলার জহুরুলনগর একতলা মসজিদ এলাকার পাশের একটি বাড়িতে থাকেন। তিনি বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করেছেন। ২০২০ সালে স্নাতকোত্তর পাসের পর থেকে চাকরি খুঁজছেন তিনি, কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী চাকরি পাননি। তাই পেশায় ‘বেকার’ উল্লেখ করে বগুড়া শহরের জহুরুলনগরের আশেপাশের এলাকায় প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের গণিত ছাড়া সব বিষয় পড়ানোর জন্য তিনি বিজ্ঞাপনটি দেন।  

সাদা কাগজে কালো কালিতে প্রিন্ট করা বিজ্ঞাপনটি দেখা যায় বগুড়া শহরের বিভিন্ন দেয়ালে ও ইলেকট্রিক খুঁটিতে। সেখানে তিনি লেখেন, পড়ানোর বিনিময়ে কোনো অর্থ চান না। তাকে সকাল ও দুপুর দু’বেলা ভাত খাওয়ালেই হবে। দেশে এ ধরনের বিজ্ঞাপন সাধারণত দেখা যায় না। তাই বগুড়ার আলমগীর কবিরের এমন বিজ্ঞাপন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।  

দেয়ালে দেয়ালে লাগানো সেই বিজ্ঞাপনের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন এক ব্যক্তি। এরপর নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় পোস্টটি।

 

Link copied!