পাঁচ অস্ত্রধারী দুই মিনিটে হত্যা করে মুহিবুল্লাহকে

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

অক্টোবর ২৩, ২০২১, ১১:২২ পিএম

পাঁচ অস্ত্রধারী দুই মিনিটে হত্যা করে মুহিবুল্লাহকে

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারের উখিয়া ও কুতুপালংয়ের আশ্রয় নেওয়া লাখো রোহিঙ্গাদের শীর্ষনেতা মুহিবুল্লাহ হত্যায় পাঁচ অস্ত্রধারী অংশ নিয়েছিলেন। আর এই পাঁচ অস্ত্রধারী মাত্র দুই মিনিটে মুহিবুল্লাহর হত্যার মিশন শেষ করেন। মুহিবুল্লার হত্যার দুইদিন আগে মরগজ পাহাড়ে কিলিং মিশনের জন্য বৈঠক করেন দুর্বৃত্তরা। পূর্ব পরিকল্পিত এই হত্যাকাণ্ডে সর্বমোট ১৯ জন কাজ করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে উখিয়ায় মুহিবুল্লাহর হত্যার কিলিং স্কোয়াডের সদস্য আজিজুল হককে গ্রেপ্তারের পর ১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসপি নাঈমুল হক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।

আজিজুল হক ছাড়াও কুতুপালং ক্যাম্প-১ এর ডি ৮ ব্লকের আব্দুল মাবুদের ছেলে মোহাম্মদ রশিদ প্রকাশ মুরশিদ আমিন ও একই ক্যাম্পের বি ব্লকের ফজল হকের ছেলে মোহাম্মদ আনাছ ও নুর ইসলামের ছেলে নুর মোহাম্মদকে র‌্যাব গ্রেপ্তার করেছে।

আজিজুল হকের স্বীকারোক্তিতে পাওয়া তথ্য জানিয়ে ১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসপি নাঈমুল হক বলেন, মুহিবুল্লার হত্যার দুইদিন আগে মরগজ পাহাড়ে কিলিং মিশনের জন্য বৈঠক করে দুর্বৃত্তরা। সেখান থেকে ৫ জনকে অস্ত্রসহ মোট ১৯ জনকে নির্দেশ দেওয়া হয় মিশন শেষ করার জন্য।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, দিনে দিনে মুহিবুল্লাহ রোহিঙ্গাদের নেতা হিসেবে পরিচিত হচ্ছে।মুহিবুল্লাহকে যেকোনো মূল্যে থামাতে ২৯ সেপ্টেম্বর তাকে বাসা থেকে অফিসে প্রত্যাবাসন বিষয়ে কথা আছে বলে ডেকে আনে গ্রেপ্তার হওয়া মুরশিদ। তারপর বাকিদের সংকেত দেন তিনি।

তিনি আরও জানান, প্রথমে একটি, তার পরের জন দুটিসহ চারটি গুলি করেন মুহিবুল্লাহকে। তারপর মুহিবুল্লার বাড়ির পেছন দিয়ে পালিয়ে যান স্কোয়াডের ৫ জন। পরে সবাই সতর্ক হয়ে যান। বিভিন্নজনের ওপর দোষ চাপাতে থাকেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-১ ইস্ট-ওয়েস্ট (ডি ব্লকে) নিজ অফিসে অবস্থান করার সময়  বন্দুকধারীরা তাকে গুলি করে হত‌্যা করেন। এখন পর্যন্ত এ হত্যা মামলায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার মধ্যে মোহাম্মদ ইলিয়াছ নামে একজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

Link copied!