গত ২৪ ঘণ্টায় নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড ১৯) আক্রান্ত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া একই সময়ে ১ হাজার ৭৪২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। বুধবার (৫ মে) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে, মঙ্গলবার (৪ মে) ২৪ ঘণ্টায় নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড ১৯) আক্রান্ত ৬১ জনের মৃত্যু হয়। একই সময়ে ১ হাজার ৯১৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। তার আগের দিন করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৬৫ জন মারা যান, করোনা সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত হন ১ হাজার ৭৩৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের বুলেটিন বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ৪২৭টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি পিসিআর ল্যাব ১২৬টি, জিন এক্সপার্ট ল্যাব ৩৫টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাব ২৬৬টি। এই সময়ে নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২০ হাজার ২১৭টি। আগের দিনেরসহ নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ২০ হাজার ২৮৪টি। গত ২৪ ঘণ্টার নমুনা পরীক্ষা নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা হলো ৫৫ লাখ ৬০ হাজার ৬৭৮টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা নমুনার মধ্যে ১ হাজার ৭৪২টি নমুনায় করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৩৩৮ জন করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আর এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৪৩৩ জন। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হলেন মোট ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৪৬৫ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক শূন্য ০২ শতাংশ।
মৃত ৫০ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৫ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ১২ জন এবং বাসায় মারা গেছেন তিনজন। এ নিয়ে দেশে করোনা ভাইরাসে ১১ হাজার ৭৫৫ জনের মৃত্যু হলো। শনাক্তের বিপরীতে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৩।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত এই ৫০ জনের মধ্যে ৩২ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী। এদের মধ্যে ৩০ জন ষাটোর্ধ্ব, ১৩ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, পাঁচজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর। এছাড়া ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে মারা গেছেন দু্ইজন। মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের রয়েছেন ২৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১৬ জন, রাজশাহী বিভাগের একজন, খুলনার তিনজন ও সিলেটের রয়েছেন দুইজন।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্র বলছে, মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত সারাদেশে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন মোট ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৯ জন। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৭৫৭। গত ২৪ ঘণ্টায় ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৩৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৮৩ হাজার ৫৪০ জন। এ পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩১ লাখ ৬ হাজার ৭০৯ জন।