মার্চ ৩১, ২০২১, ০৪:৪৩ পিএম
মহামারি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সোমবার নতুন করে ১৮ টি নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। এতে গণ-পরিবহনসহ সরকারি-বেসরকারি অফিসে জনসমাগম ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই দিন জরুরি বৈঠকে বসে গণ-পরিবহনের ভাড়া নির্ধারণে গঠিত সরকারি কমিটি। বৈঠক থেকে বাসের অর্ধেক আসন খালি রাখার শর্তে প্রস্তাব দেওয়া হয় ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির। নির্দেশনা দেওয়া হয় পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার।
মন্ত্রণালয়ের সবুজ সংকেত পাওয়ার পর বুধবার থেকে গণপরিবহনে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে যথারীতি। যাত্রীদের জীবানুমুক্ত করতে কেউ কেউ বাসে রাখছেন স্যানিটাজার। বাসে ওঠার আগে যাত্রীরা মাস্ক পরেছেন কি না, সেদিকেও অবশ্য খেয়াল রেখেছেন কেউ কেউ। কিন্তু জরুরি এসব বিধি মানার দিকে সেরকম মনযোগ নেই বেশিরভাগ বাসচালকদের। তাদের সবাই বেশি মনযোগী বাড়তি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দিকে।
সর্বোপরি ভাড়া বাড়ানো ছাড়া অন্যান্য বিধি মানার প্রবণতা ছিল খুবই কম। রাজধানীর বাসগুলোতে সরেজমিনে গিয়ে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে।
বাসে চলতিপথে দ্য রিপোর্টের কাছে যাত্রীদের অনেকে ভাড়া বৃদ্ধির অভিযোগ করেছেন। কেউ কেউ বলছেন, ৬০ শতাংশ নয়, বরং ভাড়া বাড়ানো হয়েছে ২০০ শতাং। ৫ টাকার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ১৫ টাকা।
যদিও বাসের চালক, সহকারীরা দাবি করছেন, হিসাব মতোই ভাড়া তুলছেন তারা।
উল্টো পরিবহন কর্মীদের অভিযোগ, নিষেধ করা সত্ত্বেও জোর করে বাসের ভেতর ঢুকে পড়ছেন অনেক যাত্রী। মাস্কও পরেননি অনেকে।
বাসে স্বাস্থ্যবিধি কম-বেশি মানা হলেও একেবারেই নতুন বিধান আমলে নেয়নি লেগুনা ও হিউম্যান হলার। বরাবরেরেই মতোই ভেতরে ঠাসাঠাসির পর পেছনেও ঝুলেছে যাত্রীরা। অন্যদিকে, পাঠাও-উবারসহ রাইড শেয়ারিং সেবাও চলছে নিয়মের বাইরেই।
কোভিড-১৯ মোকাবিলায় জারি করা নতুন নিয়ম মানা হচ্ছে কি না তা তদারকি করতে মাঠে থাকার কথা ছিল সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের। কিন্তু নিয়ম বাস্তবায়ন শুরুর প্রথম দিনই রাস্তায় দেখা মেলেনি তাদের কারও।
এ ব্যাপারে বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার ভাষ্য, এ বিষয়ে আলোচনা করতে বুধবার বিকেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ে বৈঠকে বসা হবে ।