বিশ্বজুড়ে আতংক সৃষ্টিকারী করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের এই নতুন ধরন প্রতিরোধে আবারও প্রায় ১৫ দফা পদক্ষেপের মাধ্যমে বিধি নিষেধের সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) ১৮টি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বৈঠকে বসেছেন। সবার মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে বেলা পৌণে ১২টার দিকে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, করোনার দক্ষিণ আফ্রিকান ধরনটির বিস্তার ঠেকানোর অংশ হিসেবে সীমান্ত এলাকার বন্দরগুলোতে সতর্কতা ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে গত রবিবার কভিড-১৯-সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি বৈঠক করেছে। কমিটির সদস্যরা চারটি সুপারিশ করেছেন।
সুপারিশগুলো হলো- যেসব দেশে ওমিক্রন সংক্রমণ ছড়িয়েছে সেখান থেকে যাত্রী আসা বন্ধ করতে হবে। কোনো ব্যক্তির এসব দেশে ভ্রমণের সাম্প্রতিক (শেষ ১৪ দিন) ইতিহাস থাকলে তাকে বাংলাদেশে ১৪ দিন ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। করোনা শনাক্ত হলে আইসোলেশনে যেতে হবে।
প্রতিটি বন্দর ও সীমান্তে স্ক্রিনিং পরীক্ষা, সামাজিক সুরক্ষা সংক্রান্ত ব্যবস্থা আরও কঠোরভাবে পালন করা (স্কুল, কলেজসহ), চিকিৎসাব্যবস্থা শক্তিশালী করা, বিভিন্ন (রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয়) সমাবেশে জনসমাগম সীমিত করা এবং মানুষকে উৎসাহিত করতে করোনা পরীক্ষা বিনা মূল্যে করার সুপারিশ করা হয়।
অন্যদিকে, এই সংক্রমণ প্রতিরোধে ১৫ দফা পদক্ষেপ কঠোরভাবে বাস্তবায়নের কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।