বিএনপির লবিস্ট নিয়োগের বিষয়ে তদন্তের সক্ষমতা নেই ইসির

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২২, ০৭:১০ পিএম

বিএনপির লবিস্ট নিয়োগের বিষয়ে তদন্তের সক্ষমতা নেই ইসির

বিএনপির লবিস্ট নিয়োগের বিষয়ে তদন্তের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সক্ষমতা নেই। নেই আইনি কাঠামোও। বৃহস্পতিবার বিকালে কমিশনের সভা শেষে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে সভায় নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম ও বেগম কবিতা খানম উপস্থিত ছিলেন। সদ্য করোনামুক্ত হওয়া নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার কমিশনে এলেও বৈঠক শুরুর আগে পূর্ব নির্ধারিত ডাক্তারের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় থাকায় এবং নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর (অব.) স্ত্রী অসুস্থ থাকায় আজকের সভায় তারা অংশ নেননি।

ইসি সচিব বলেন, ‘বিএনপির লবিস্ট নিয়োগের বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী যে চিঠি দিয়েছেন, কমিশন বৈঠকে তা নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়েছে। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো কমিশনে যে অডিট রিপোর্ট জমা দেয়, তা পর্যালোচনা করে দেখা হয়। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি যে অডিট রিপোর্ট জমা দিয়েছে, তাতে এমন কোনও তথ্য নেই যে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করার জন্য কোনও অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। তাছাড়া বিদেশে অর্থ ব্যয় করা হলে তা তদন্ত করার আইনি কাঠামো ও সক্ষমতা ইসির নেই। আইনি কাঠামোতে তথ্যপাচার সংক্রান্ত বিষয় পড়ে না।’ 

তিনি বলেন, ‘সরকারের যেসব এজেন্সি অর্থপাচার সংক্রান্ত বিষয় তদন্ত করতে পারে, তারা তদন্ত করে নির্বাচন কমিশনকে দিলে কমিশন তা পর্যালোচনা করে দেখবে।’

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ যেহেতু কমিশনের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নয়, ফলে তাদের বিষয়ে কমিশনের কিছু করণীয় নেই বলেও জানান সচিব।

কমিশনের এই সিদ্ধান্ত পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান ইসি সচিব।

লবিস্ট নিয়োগ প্রমাণিত হলে কমিশনের এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এরকম বিষয় যদি প্রমাণিত হয় এবং কমিশনকে যদি জানানো হয়, তাহলে তা কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নেবে।’

অভিযোগ উঠেছে, আওয়ামী লীগও লবিস্ট নিয়োগ করেছে। বিষয়টি আপনারা খতিয়ে দেখেছেন কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে এ ধরনের কোনও অভিযোগ আসেনি। আজকের বৈঠকে যে আলোচ্য বিষয় সেখানে এ ধরনের কিছু আসেনি।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ূন কবীর, ইসির যুগ্ম-সচিব ও পরিচালক (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান।

Link copied!