স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১, ০৩:২৩ পিএম

স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

করোনাভাইরাস সংক্রমণের সময় মাস্ক-পিপিইসহ সরঞ্জাম সরবরাহ ও করোনা সনদ প্রদানে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে ওই চার্জশিট অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে সংস্থাটির উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে নিশ্চিত করেছেন।

দুদক সূত্র জানায়, নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগ ছাড়াও প্রতারক সাহেদের রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসা নিয়ে প্রতারণা এবং করোনা সনদ দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন করেছে কমিশন।

২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সংস্থাটির উপপরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী বাদী হয়ে সাহেদ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চার কর্মকর্তাসহ পাঁচ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় আসামি না করা হলেও তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আলোচিত সাবেক মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দিলো দুদক।

আসামিদের বিরুদ্ধে লাইসেন্স নবায়নবিহীন বন্ধ রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, সমঝোতা স্মারক সম্পাদন এবং নমুনা পরীক্ষা বাবদ ও করোনা চিকিৎসায় খরচ বাবদ ৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

দুদকের অভিযোগপত্রে ছয় বছর ধরে নবায়ন বন্ধ রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে কোভিড চিকিৎসায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করা চুক্তিকে অবৈধ বলা হয়েছে। এ অবৈধ চুক্তির ওপর ভর করেই করোনায় আক্রান্ত রোগীদের নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করে অবৈধ পারিতোষিক বাবদ ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ।

অভিযোগপত্রে সাবেক ডিজি আজাদ এবং রিজেন্টের সাহেদ ছাড়াও আসামি করা হয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ডা. আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক শফিউর রহমান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গবেষণা কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামকে।

Link copied!