আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের ভোটগ্রহণ এক দিনে না নিয়ে ধাপে ধাপে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন সাংবাদিকরা। বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আয়োজিত সংলাপে অংশ নিয়ে সাংবাদিকরা এ সুপারিশ করেন।
সংলাপে ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন বলেন, “বিভাগভিত্তিক জাতীয় সংসদ নির্বাচন করা যেতে পারে। তাহলেই দেখা যাবে আওয়ামী লীগ কয়টি সিট পায়, আর বিএনপি কয়টি সিট পায়।”
ইসিকে উদ্দেশ্য করে তাসমিমা হোসেন আরও বলেন, “আপনারা শতভাগ ন্যায্য ভোট করবেন বলে আশা করছি না। তবে ৫০ শতাংশ সাফল্য পেলে স্যালুট জানাব। আগামী নির্বাচন ভালোভাবে না হলে খুনোখুনি হবে। মেশিনগান নিয়ে নামবে।”
ইত্তেফাক সম্পাদক বলেন, “ডিসি-এসপিকে বললে এখন আর কোনো কাজ হয় না। আমরা যাচ্ছি কোথায়? লিডারশিপের অভাব প্রতিটি বেলায়। আমরা এখন ওপরের দিকে তাকিয়ে থাকি। প্রথমে গণভবন, তারপর আল্লাহর দিকে।”
তাসমিমা হোসেনের বক্তব্য সমর্থন করে দৈনিক প্রথম আলো’র যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান ইসিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “সারাদেশে এক দিনে নির্বাচন না করে ভাগ ভাগ করে নির্বাচন করতে পারেন।”
প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের তৃতীয় দফা সংলাপে ২৩ সম্পাদকসহ ৩৪ জন সাংবাদিককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে ১১ জন ইসির এই আমন্ত্রণে সাড়া দেননি।
বৈঠকে যারা উপস্থিত ছিলেন
নিউএজ সম্পাদক নূরুল কবীর, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, প্রথম আলোর আনিসুল হক, সোহরাব হাসান, বাংলাদেশ জার্নালের সম্পাদক শাহজাহান সরদার, ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ডেইলি অবজারভারের অনলাইন ইনচার্জ কাজী আব্দুল হান্নান, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মাহবুব কামাল, ভোরের ডাকের সম্পাদক কে এম বেলায়েত হোসেন, যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, প্রতিদিনের সংবাদের সম্পাদক শেখ নজরুল ইসলাম, আজকের পত্রিকার সম্পাদক মো. গোলাম রহমান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, নয়াদিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ডেইলি স্টারের এক্সিকিউটিভ এডিটর সৈয়দ আশফাকুল হক, সিনিয়র সাংবাদিক অজয় দাসগুপ্ত, মানবকণ্ঠের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক দুলাল আহমেদ চৌধুরী, আমার সংবাদের সম্পাদক হাশেম রেজা, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের সম্পাদক ইনাম আহমেদ চৌধুরী, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকার ।