বেটা
আগস্ট ১, ২০২৩, ০৬:২৫ পিএম
সংগৃহীত ছবি
বাংলাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতির উন্নতির কোনো লক্ষণ নেই। বরং প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা। দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতির এই ভয়াবহতায় প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যও উদ্বেগ জানিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারতে প্রবেশের ক্ষেত্রে ডেঙ্গু পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে ত্রিপুরা রাজ্য সরকার। রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের থেকে এ নিয়ে এক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের এই নির্দেশিকা দেওয়ার পরই সোমবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকেই বাংলাদেশি নাগরিকদের স্থল সীমান্তগুলোতে ডেঙ্গু পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক করা হয়।
ত্রিপুরা রাজ্যের ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড প্রিভেন্টিভ মেডিসিনের কর্মকর্তা ড. সুপ্রিয় মল্লিক জানান, ত্রিপুরায় প্রবেশের ক্ষেত্রে বাংলাদেশি পর্যটকদের প্রতিটি সুসংহত চেক পোস্টে (আইসিপি) ডেঙ্গু পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আমরা আমাদের স্বাস্থ্য শিবিরগুলোর ওপরে জোর দিয়েছি। শ্রীমন্তপুর, বেলোনিয়া এবং আখাউড়া আইসিপি`তে ডেঙ্গু টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “ত্রিপুরা প্রবেশের আগে বাংলাদেশি পর্যটকদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। ডেঙ্গু পরীক্ষায় পাশ করলেই তবে ত্রিপুরায় প্রবেশের ছাড়পত্র মিলবে।”
ড. সুপ্রিয় মল্লিক জানান, র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট কিট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোন ব্যক্তির শরীরে সামান্যতম ডেঙ্গুর লক্ষণ থাকলেও তা ধরা পড়বে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি পর্যটকের শরীরে ডেঙ্গুর লক্ষণ পাওয়া যায়নি বলেও তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, এর আগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অভিযোগ করে বলেন, পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশকারী বাংলাদেশি পর্যটকদের থেকেই তার রাজ্যে ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সীমান্তে ভারতে প্রবেশকারী বাংলাদেশি পর্যটকদের প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার দাবিও তোলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।
-20241121105543.jpg)
-20241027115010.png)
