বেটা
আগস্ট ৬, ২০২২, ০৪:১০ পিএম
সরকার যে ভয়াবহ দুর্নীতির মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিচ্ছে তার আরেকটি প্রমাণ হচ্ছে- হঠাৎ করে মধ্য রাতে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি-এমনই মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ জনগণ ও দেশের অর্থনীতির ওপরে ভয়াবহ প্রভাব পড়বে বলেও তিনি জানান।
ভোলা জেলা শাখা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম হত্যার প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদল আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “এই সরকার যে শুধু বিএনপির ওপরে আক্রমণ করেছে তা নয়, এই সরকার যে দুর্নীতি শুরু করেছে, যে আকাশ ছোঁয়া দুর্নীতির মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিচ্ছে তার আরেকটি প্রমাণ হচ্ছে -শুক্রবার (৫ আগস্ট) মধ্যরাতে হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের দাম ৫০ ভাগেরও বেশি বাড়িয়ে দিয়েছে।”
ডিজেল ও অকটেনের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “ যে ডিজেলের দাম ছিল ৮০ টাকা, তার দাম করেছে ১১৪টাকা। অকটেনের দাম ছিল ৮৮টাকা তার দাম করেছে ১৩৫টাকা। ফলে আজ (৬ আগস্ট) রাস্তায় যানবাহন কমে গেছে। এটার ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়বে সারা দেশের অর্থনীতির ওপরে।”
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির অন্যতম এই শীর্ষনেতা বলেন, “ জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে দেশের সব মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এই জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে পরিবহন ভাড়া, চাল, ডাল তেলের দাম আবার দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ হয়ে যাবে। মাঝখান থেকে আমাদের সাধারণ মানুষ যারা দিন আনে দিন খান, তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।”
‘এতদিন সরকার মিথ্যাচার করেছে’ মন্তব্য করে বিএনপির এই মহাসচিব বলেন, “এখন রিজার্ভ কমে যাওয়ার কারণে সরকার আইএমএফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, এডিবির কাছ থেকে ডলার ঋণ নিচ্ছে। আইএমএফের ঋণের শর্ত খুব শক্ত। তারা বলেছে যেসব পণ্যে ভর্তুকি দিচ্ছ, সেসব বন্ধ করো। সেজন্য জ্বালানির দাম বাড়ানো হয়েছে।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “গতকাল(শুক্রবার) বিপু সাহেব বললেন জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা বাড়ানো হতে পারে, যা সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এর দাম দেড়গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। আপনারা জানেন, বার বার বিদ্যুৎ, গ্যাস, তেলের দাম বাড়ানো হচ্ছে। তারমধ্যে আজ সকালে দেখলাম কাঁচা মরিচের দাম তিনশ টাকা। মানুষ এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।”
ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের পরিচালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহবায়ক আবদুস সালাম, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাবেক ছাত্র নেতা ড. আসাদুজ্জামান রিপন, উপস্থিত ছিলেন।
