দেশে রাশিয়া ও চীনের টিকা উৎপাদনের অনুমোদন

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ২৮, ২০২১, ০৬:২৫ পিএম

দেশে রাশিয়া ও চীনের টিকা উৎপাদনের অনুমোদন

রাশিয়া ও চীনের প্রযুক্তি কিনে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন উৎপাদনের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। তবে দেশে কোন কোম্পানি এসব টিকা উৎপাদন করবে সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।

বুধবার (২৮ এপ্রিল) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার।

বৈঠক শেষে অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার বলেন, ‘আজ অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে মোট তিনটি প্রস্তাব উত্থাপিত হয়। কিন্তু জরুরি প্রয়োজনে রাশিয়া ও চীনের তৈরি দুটি টিকা উৎপাদনে অনুমোদনের প্রস্তাব সবার আগে টেবিলে উত্থাপিত হয়। 

পরে আলোচনার মাধ্যমে রাশিয়ার ‘স্পুটনিক-ভি’ ও চীনের ‘সিনোফার্ম’ থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণ করে বাংলাদেশে টিকা উৎপাদনের জন্য মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে করোনা ভ্যাকসিন উৎপানের বিষয় নিয়ে রাশিয়া এবং চীনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এই টিকা উৎপাদনে কত টাকা যুক্ত তা পরে যখন ক্রয় কমিটিতে প্রস্তাব আসবে তখন জানা যাবে। এখন শুধু নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের যে কারিগরি ও পরামর্শক কমিটি রয়েছে তাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এবং আমাদের নীতিনির্ধারকরা রয়েছেন তারাও আলোচনা করেছেন। তারপরই এ বিষয়ে সম্মতি দেয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই কার্যক্রম শুরু হবে।’

বাংলাদেশের কোন কোম্পানির মাধ্যমে উৎপাদন হবে সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটা আলোচনায় উঠে আসেনি। তবে বাংলাদেশের কোম্পানিগুলো উৎপাদনে সক্ষম সেটা বলা হয়েছে। এই টিকা উৎপাদনের জন্য যে টাকা খরচ হবে সেটা পরবর্তী অর্থনৈতিক কমিটিতে অনুমোদন দেয়া হবে।’ 

দু’দেশের টিকা অনুমোদনের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে দুটি প্রস্তাব ছিল, একটি হলো টিকা কেনা। আমাদের বিকল্প সোর্স থেকেও চেষ্টা করতে হবে। তার মানে এই নয় আমাদের প্রথম যে সোর্স সেটি বাতিল হয়ে গেছে। তবে আমাদের মাথায় সবসময় বিকল্প রাখতে হবে। তাই বিকল্প হিসেবে রাশিয়ার টিকা ‘স্পুটনিক-ভি’ ও চীনের ‘সিনোভ্যাক’ এর জন্য দুটি দেশের সংশ্লিষ্ট সংস্থা যারা আছে তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।’

Link copied!