বেটা
যথাসমেয়ই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কে অংশ নিলো, কে নিলো না তা দেখার কিছু নেই। নির্বাচন কারো জন্য বসে থাকবে না। বুধবার (২৪ নভেম্বর) সকালে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের একথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “আগামী জাতীয় নির্বাচন বর্তমান সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে না, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। বিএনপিকে নির্বাচনে জয়ী হবার নিশ্চয়তা দিলেই নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ, আর জয়ী হবার নিশ্চয়তা না দিলে নিরপেক্ষ নয়।”
এসময় কাদের বলেন, বিএনপি দেশের উন্নয়ন-অর্জনে ঈর্ষান্বিত হয়ে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে সাথে নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে। এবিষয়ে দলের নেতাকর্মীদের এই অপশক্তির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
কাদের বলেন, “জনগণের কাছে ভোট চাওয়ার মত বিএনপির কোনো মুখ নেই, তাই তারা নতুন নতুন ইস্যু খুঁজে বেড়াচ্ছে। তাদের পলাতক নেতা তারেক রহমান লন্ডনে বসে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে উসকানি দিয়ে যাচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে অংশ না নিলেও ঘোমটা পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে অংশ নিচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল বলেন, তারা নির্বাচনে হানাহানি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে ষড়যন্ত্র করছে, তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলের মধ্যে যারা সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে জেলা কমিটি শোকজ ও প্রাথমিকভাবে বহিষ্কার করে কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
দুঃসময়ের ত্যাগীদের কমিটিতে রাখার নির্দেশ দিয়ে বলেন, তাদের অবশ্যই মূল্যায়ন করতে হবে।
সুসময়ে অনুপ্রবেশকারীরা দলে প্রবেশ করলে দলের ভিতর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে তাই ওবায়দুল কাদের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ভাড়া করে খারাপ লোকদের দলে এনে দল ভারী করার কোনো দরকার নেই।
ইউপি নির্বাচনে দলের মনোনয়ন যারা পায়নি তারা দলের নিয়ম না মেনে বিদ্রোহী প্রার্থী হচ্ছেন এবং নেপথ্যে মদদ দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
-20241121105543.jpg)
-20241027115010.png)
