জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে সারাদেশে পরিবহন ধর্মঘট চললেও নৌপথে কোন ধর্মঘট ছিল না। তবে এবার লঞ্চ মালিকরাও ধর্মঘটে একাত্ম হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। শুক্রবার (৫ নভেম্বর) লঞ্চ মালিকরা গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বরিশাল নদী বন্দর থেকে শুক্রবার (০৫ নভেম্বর) ঢাকাগামী সকল লঞ্চ ছেড়ে যাবে। তবে শনিবার (৬ নভেম্বর) বেলা ১২টার মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ডিজেলের দাম কমানো কিংবা লঞ্চ ভাড়া বাড়ানো সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত না এলে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হবে।
এদিকে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকাসহ দেশে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল থেকে অনির্দিষ্টকাল এই পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় মালিক শ্রমিকরা। তাদের দাবি, তেলের দাম কমাতে হবে, নয়তো পরিবহন ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত পরিবহন চলাচল বন্ধ রাখবেন তারা।
উল্লেখ্য, দেশের বাজারে বুধবার (৩ নভেম্বর ) ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা (২৩ শতাংশ) বাড়িয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। মূল্য বৃদ্ধির ফলে বুধবার রাত থেকেই ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৬৫ টাকার পরিবর্তে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে অকটেনের দাম ৮৯ টাকা ও পেট্রলের দাম আগের মতোই প্রতি লিটার ৮৬ টাকা রয়েছে।