ফেব্রুয়ারি ২, ২০২২, ০৪:১৬ পিএম
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, “বিএনপির দেশের টাকা পাচার করে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করার যে আলামত বেড়িয়ে এসেছে সেটা খুবই নিকৃষ্টমানের রাজনীতি। এর আগেও খালেদা জিয়া বিদেশিদের কাছে দেশের বিরুদ্ধে চিঠি লিখেছিলেন। রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ থাকতে পারে কিন্তু দেশের বিরুদ্ধে তাদের এই গোপন ষড়যন্ত্র রাষ্ট্রদ্রোহীতার সামিল। আমি মনে করি তাদের এদেশের মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।”
আজ বুধবার ঢাকা মহাখালির আইপিএইচ স্কুল এ্যান্ড কলেজ মাঠে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, “ফেব্রুয়ারি মাস ভাষা আন্দোলনের মাস। এই মাসটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, কিভাবে এক ঝাঁক তরুণ-যুবসমাজ মাতৃভাষার জন্য সর্বোচ্চ আত্মহুতি দিয়েছিল ১৯৫২ সালের এই ফেব্রুয়ারি মাসে। যা কিছু আমরা অর্জন করেছি তার পিছনে যুবসমাজের ভূমিকাই সর্বাধিক, তারাই নেতৃত্ব দিয়েছে। যুবসমাজেরই দায়িত্ব অন্যায়ের প্রতিবাদ করা।”
তিনি বলেন, “ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম এই কিছু দিন আগেও বাদ দেয়া হয়েছিল সুপরিকল্পিতভাবে। পেরেছে? পারেনাই। বঙ্গবন্ধু আরও শক্তিশালীরূপে আজকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ১৯৪৮ সালে লে খেটেছেন এই ভাষা আন্দোলনের সংগ্রামে হরতাল করতে গিয়ে। রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের ডাকে ৪৮ সালের ১১ই মার্চ যেই হরতাল হয়েছিল, সেই হরতালে পুলিশ লাঠি চার্জ করে এবং শেখ মুজিব ও রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক, সামসুল আলম একই সাথে গ্রেফতার হন। ভাষা আন্দোলন ছিল বাঙালির যৌক্তিক ও ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রাম।”
সুবিধাবঞ্চিতদের উদ্দেশ্যে শেখ পরশ বলেন, “আপনারা যে কোন সহযোগিতায় পাবেন। আমরা আপনাদের যে কোন সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবো। মনে রাখবেন অন্যান্য দলের মতো শেখ হাসিনা ও যুবলীগ শুধু ভোটের সময় আপনাদের কাছে মিথ্যা আশ্বাস নিয়ে আসে না, আমরা সবসময় আপনাদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকি। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জনগণের কাছে যা ওয়াদা করেন, তা পূরণ করেন। দেশের অসহায় মানুষ শীতে কষ্ট পাবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। সেকারণেই আজকে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।”
বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে বাসায় ফেরত গিয়েছেন। অত্যন্ত আনন্দের কথা। আমরা তার পরিপূর্ণ সুস্বাস্থ্য কামনা করি। আমাদের বিশ্বাস ছিল যে তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন, কারণ বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল হাসপাতালেই তার চিকিৎসা হচ্ছিল এবং তার অসুস্থতার চিকিৎসা বাংলাদেশেই হওয়া সম্ভব বলে আমাদের বিশ্বাস ছিল। কিন্তু এই ব্যাপারটা নিয়ে করোনার সময় তারা যে অবান্তর ও অযৌক্তিক আন্দোলন-সংগ্রাম করল এবং তার অসুস্থতা নিয়ে যে অপরাজনীতি করল সেটার নিন্দা করার আমাদের রুচি নাই। রাজনীতি করার অনেক বিষয় আছে, কারো অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি কখনই কাম্য না।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, “এই করোনার সময় ইতোমধ্যেই প্রমাণ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ শেখ হাসিনার কর্মী। শেখ হাসিনার উদ্দেশ্য হচ্ছে এই বাংলাদেশের খেটে খাওয়া মানুষ সুখে থাকবে, শান্তিতে থাকবে, পেট ভরে ভাত খাবে, রাতে শান্তিতে ঘুমাবে।
ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন এর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য এনামুল হক খান, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. হেলাল উদ্দিনসহ অনেকে।