করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে সরকার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলার যে নির্দেশনা দিয়েছে, তা পালন করতে ভাড়া বাড়াতে চাইছেন পরিবহন মালিকরা।
মহামারীর মধ্যে গত বছর এবং তার আগের বছর অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলার সময় ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল।
এবারও তেমনটি চান বাস ও লঞ্চ মালিকরা; যদিও ডিজেলের দাম বাড়ানোর পর গত বছরের শেষ ভাগে বাসের ভাড়া ২৭ শতাংশ এবং লঞ্চের ভাড়া ৩৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল।
অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলতে হলে ভাড়াও বাড়াতে হবে, বলেছেন বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বাদল।
তিনি বলেন, “অতীতে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ছাড়তে হয়েছে, কিন্তু ব্যবসার বারোটা বেজেছে তখন। ৬০ শতাংশ ভাড়া বেশি নেওয়া হয়েছে, কিন্তু যাত্রী সংখ্যা কমে গেছে। আর অনেক গরিব যাত্রী লঞ্চে উঠে বলেছে, এত টাকা দেওয়ার সামর্থ্য নেই।”
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, “অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চললে তেলের পয়সাও হবে না। এর আগে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলার সিদ্ধান্ত আসার পর ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল।”
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এ নিয়ে একটি নির্দেশনা দেবে।
তিনি বলেন, “এটা যেহেতু ১৩ তারিখ থেকে কার্যকর হবে, সে ক্ষেত্রে আরও দুদিন সময় আছে… মিনিস্ট্রি থেকে যেভাবে সিদ্ধান্ত আসবে, আমরা সেভাবেই কাজ করব।”
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাবের পর সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া ঠেকাতে সোমবার নতুন করে কিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ট্রেন, বাস ও লঞ্চে সক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নেওয়া যাবে। সব ধরনের যানের চালক ও সহকারীদের বাধ্যতামূলকভাবে করোনাভাইরাসের টিকার সনদধারী হতে হবে।
আগামী ১৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া অবধি এই নির্দেশনা কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়েছে।