খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, “সরকারিভাবে ভারত গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি। তবে বেসরকারিভাবে রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। তারা রপ্তানি বন্ধ করলেও এতে বাংলাদেশের ওপর তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। ভারত গম রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দ্রুত তুলে নেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, তাদের উৎপাদিত গম তাদেরকে তো বিক্রি করতেই হবে।”
রবিবার দুপুরে সিলেট সদর উপজেলায় খাদ্য গুদাম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, “ ১ বছর থেকে আমরা বিদেশ থেকে চাল আমদানি করিনি। আমাদের কৃষকদের উৎপাদিত ধান দিয়েই চালের চাহিদা মিটছে। তবে গম আমাদের দেশে হয় না, বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। গম আমদানি করা হতো ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে। কিন্তু এই দু’দেশের যুদ্ধের সময়ে আমরা সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে ৩ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানি করেছি। পরবর্তীতে যা দরকার তাও ভারত থেকে আমদানি করা হবে।”
সম্প্রতি পেঁয়াজের দামে ঊর্ধ্বমুখীর মধ্যে সরকার পেঁয়াজ আমদানির চেষ্টা চালাচ্ছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “ভবিষ্যতে পেঁয়াজের দাম বাড়বে না। সিলেটে ধান চাল সংরক্ষণের জন্য ২৫ হাজার টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন সাইলো নির্মানণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এজন্য জায়গা খোঁজা হচ্ছে। জায়গা পাওয়া গেলেই সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কাজ শুরু হবে।”
দেশে খাদ্যসংকট হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন খাদ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, “সুনামগঞ্জে সম্প্রতি বোরো ফসলের কিছু ক্ষয়-ক্ষতি হলেও চাষাবাদ হয়েছে অনেক বেশি। এ থেকে আমাদের ধান-চালের শক্তিশালী একটি মজুত গড়ে উঠবে। এছাড়াও গত আউশ ও আমন ধানেরও আমাদের প্রচুর মজুত রয়েছে। বৃষ্টির কারণে আগামী আউশ ফসলও ভালো হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই দেশে কোনোভাবেই খাদ্যসংকট তৈরি হবে না।”