হেফাজতে ইসলামের গ্রেপ্তার হওয়া নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ চার দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে দেখা করে, পূর্বে তাদের করা তাণ্ডবের জন্য ভুল স্বীকার করেছে দলটির নেতারা।
মঙ্গলবার (৪ মে) রাতে হেফাজতের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল তৃতীয়বারের মতো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় গিয়ে বৈঠক করেন। এ সময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানও ওই বাসায় উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘হেফাজত নেতারা যেসব কাজ করেছেন তার কিছু কাজ ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন। বলেছেন, অনুপ্রবেশকারীরা এসব জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুর করেছে। পরে, তাদের নেতাকর্মীদের ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেছেন।’
উত্তরে তারা বলেন, ‘ভিডিও ফুটেজ দেখে ধরা হচ্ছে। আবার সন্দেহ করে কাউকে ধরলেও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
রাত ৯টা ২০ মিনিটে হেফাজত নেতারা বাসায় ঢোকার পর রাত পৌনে ১২টার দিকে বের হন। পরে হেফাজত নেতারা জানান, তারা স্বরাষ্টমন্ত্রীর কাছে নেতাদের মুক্তি ও কাওমি মাদরাসা খুলে দেওয়াসহ চারটি আবেদন জানিয়েছেন।
এর মধ্যে রয়েছে- হেফাজতের আলেম নেতাদের দ্রুত মুক্তি দেওয়া। চলমান গ্রেপ্তার অভিযান বন্ধ করা। ২০১৩ সালের মামলাগুলো প্রত্যাহার করা এবং দ্রুত কাওমি মাদরাসাগুলো খুলে দেওয়া।
প্রায় তিন ঘণ্টা বৈঠক শেষে বেরিয়ে সংগঠনটির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির মহাসচিব ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব নুরুল ইসলাম জিহাদী বলেন, গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন। এছাড়া কওমি মাদ্রাসা খুলে দেয়াসহ চারটি অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এরআগে সংগঠনটির তৎকালীন যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে গ্রেপ্তারের পরদিন ১৯ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসায় বৈঠক করেন। এরপর ২৬ এপ্রিল কমিটি ভেঙে আহ্বায়ক কমিটির ঘোষণা দেয় হেফাজত। গত রবিবার রাতে ইসলামী ঐক্যজোটের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনীর নেতৃত্বে হেফাজতের আরেকটি অংশের চার নেতা মন্ত্রীর বাসায় গিয়ে বৈঠক করেন।