২৩ শর্ত মেনে মঙ্গলবার রাজধানীতে আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ১৭, ২০২৩, ০৯:৫৪ পিএম

২৩ শর্ত মেনে মঙ্গলবার রাজধানীতে আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা

ফাইল ছবি

সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেল ৩টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের সামনে থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হবে। 

এর আগে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করা হবে। 

সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সমাবেশের পর র‌্যালি শুরু হবে। র‌্যালিটি ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশন, শাহবাগ, এলিফ্যান্ট রোড, সিটি কলেজের রাস্তা হয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে গিয়ে শেষ হবে।

২৩ শর্ত মেনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপির) কাছ থেকে এ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের অনুমতি পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এর আগে গত ১৬ জুলাই দলের দফতর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ ডিএমপির কাছে কর্মসূচি পালনের জন্য আবেদন করেছিলেন।

সোমবার (১৭ জুলাই) ডিএমপি কমিশনারের বিশেষ সহকারী সৈয়দ মামুন মোস্তফা স্বাক্ষরিত চিঠিতে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সামনে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ এবং সমাবেশের পর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে শাহবাগ, এলিফ্যান্ট রোড, সিটি কলেজের রাস্তা হয়ে ধানমন্ডি ৩২ বঙ্গবন্ধুর বাসভবন পর্যন্ত র‌্যালি করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।

যে ২৩ শর্তে আওয়ামী লীগকে শোভাযাত্রা ও সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়-

(১) এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অনুমোদন নিতে হবে।
(২) স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লেখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
(৩) অনুমোদিত স্থানেই সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
(৪) নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনার পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।
(৫) স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলের চারদিকে উন্নত রেজ্যুলেশনযুক্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।
(৬) নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশে আগতদের হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে (ভদ্রোচিতভাবে) চেকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
(৭) নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে হবে।
(৮) শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সীমিত আকারে মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করতে হবে, কোনক্রমেই অনুমোদিত স্থানের বাইরে মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।
(৯) অনুমোদিত স্থানের বাইরে প্রজেক্টর স্থাপন করা যাবে না।
(১০) অনুমোদিত স্থানের বাইরে, রাস্তায় বা ফুটপাতে কোথাও লোক সমবেত হওয়া যাবে না।
(১১) আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।
(১২) ধর্মীয় অনুভূতির উপর আঘাত আসতে পারে এমন কোনও বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন/বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।
(১৩) সমাবেশের কার্যক্রম ব্যতীত মঞ্চকে অন্য কোনও কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
(১৪) সমাবেশ শুরুর ২ (দুই) ঘণ্টা পূর্বে লোকজন সমবেত হওয়ার জন্য আসতে পারবে।
(১৫) অনুমোদিত সময়ের মধ্যে (বেলা ২টা থেকে ৫টা) সমাবেশের সার্বিক কার্যক্রম শেষ করতে হবে।
(১৬) কোনও অবস্থাতেই মূল সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।
(১৭) আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।
(১৮) রাষ্ট্রবিরোধী কোনও কার্যকলাপ ও বক্তব্য প্রদান করা যাবে না।
(১৯) উসকানিমূলক কোনও বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।
(২০) কোনও ধরনের লাঠি-সোটা/ব্যানার, ফেস্টুন বহনের আড়ালে লাঠি, রড ব্যবহার করা যাবে না।
(২১) আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ও কোনও বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।
(২২) উল্লেখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।
(২৩) জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।

Link copied!