বাগেরহাটের মোংলা বন্দরে মেট্রোরেলের আরও একটি চালান এসে পৌঁছেছে। আজ সোমবার বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে মেট্রোরেলের আট বগি ও চার ইঞ্জিন নিয়ে পানামার পতাকাবাহী এম হরাইজন-৯ জাহাজটি নোঙর করে। এ নিয়ে মেট্রোরেলের আটটি চালান দেশে পৌঁছাল।
আগামীকাল মঙ্গলবারের মধ্যে জাহাজে আসা ইঞ্জিন, বগিসহ মালামাল খালাসের কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, মেট্রোরেলের চালান নিয়ে এম হরিজন-৯ জাপানের কোবে বন্দর থেকে ১ ফেব্রুয়ারি ছেড়ে আসে। জাহাজটিতে মেট্রোরেলের ৮টি বগি, ৪টি ইঞ্জিন ছাড়াও ৩৬টি প্যাকেজের ৪৮৮ মেট্রিক টন মেশিনারিজ রয়েছে।
হরাইজন-৯ জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এনশিয়েন্ট স্টিম শিপ কোম্পানির ব্যবস্থাপক মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, এ পর্যন্ত আটটি জাহাজে মেট্রোরেলের মোট ৬৮টি বগি ও ইঞ্জিন মোংলা বন্দর দিয়ে এসেছে। ২০২২ সালের মধ্যে আরও ৮২ বগি আসবে। এর আগে ৭টি জাহাজে করে ৫৬টি বগি–ইঞ্জিন এই বন্দরে আসে।
রাজধানী ঢাকায় মেট্রোরেল প্রকল্পের জন্য ২৪ সেট ট্রেন তৈরি করছে জাপানের কাওয়াসাকি-মিতসুবিশি। প্রতি সেট ট্রেনের দুই পাশে দুটি ইঞ্জিন থাকবে। এর মধ্যে থাকবে চারটি করে কোচ। ট্রেনগুলোয় ডিসি ১৫০০ ভোল্ট বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা থাকবে। স্টেইনলেস স্টিল বডির ট্রেনগুলোতে থাকবে লম্বালম্বি আসন। প্রতিটি ট্রেনে থাকবে দুটি হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত প্রতিটি বগির দুই পাশে থাকবে চারটি করে দরজা। প্রতিটি ট্রেনের যাত্রী ধারণক্ষমতা হবে ১ হাজার ৭৩৮ জন।
বন্দরে আসা মালামাল দ্রুতই জাহাজ থেকে খালাস করা হবে উল্লেখ করে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মাদ মূসা বলেন, মোংলা বন্দরের সক্ষমতা কয়েক বছরে বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুল্লিসহ মূল্যবান যন্ত্রাংশ মোংলা বন্দর দিয়ে এসেছে। বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ইনারবার ড্রেজিংসহ অনেক কাজ চলমান। এসব কাজ শেষ হলে বন্দরের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশা করেন।