সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১, ০২:০৬ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশে বিনিয়োগের আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ আহবান জানান। খবর বাসস’র।
নিউ ইয়র্কের ম্যারিয়ট হোটেলে যুক্তরাষ্ট্র শাখা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি একটা কথা বলব, আমাদের প্রবাসী যারা তারা কিন্তু বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগ করতে পারেন। শুধু আমেরিকাই করবে তা না, আমাদের প্রবাসী আমেরিকানরা যতদূর পারেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারেন।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে দেশের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধবার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, সারা দেশে প্রায় ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করা হচ্ছে। প্রবাসী বাংলাদেশী এবং আমেরিকানরা এ থেকে লাভবান হতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারেন এবং প্রবাসীরা এতে আরো সুবিধা পাবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবাইকে ভালো সুযোগ দিচ্ছি। প্রবাসীদের আরো সুবিধা (অন্যদের তুলনায়) দেয়া হচ্ছে। সুতরাং তারা এ সুযোগটি গ্রহন করতে পারেন এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারেন।’
স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনো দেশের বিরুদ্ধে সক্রিয় রয়েছে উল্লেখ করে ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি। বিদেশে বসেও জিয়া পরিবারের ষড়যন্ত্র থামেনি এমন মন্তব্য করে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান বলেন, এখনো বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের হত্যার পরিকল্পনা করে তারা।
দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে সম্পদের পাহাড় গড়া হচ্ছে জিয়া পরিবারের কাজ-মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তাদের আমলেই দেশপ্রেমিক ও মেধাবীদের হত্যা করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, যাদের উত্থান অবৈধ, তাদের মুখে অবৈধ সরকার ও গণতন্ত্রের কথা মানায় না। বিএনপির অগণতান্ত্রিক নির্বাচন ক্ষমতা দখলের ইতিহাস নিজেরাই ভুলে গেছে। জনগণ বিএনপির পাশে থাকলে তাদের আন্দোলন করে জনগণ দূর করতো না।
আওয়ামী লীগ সরকার অনেকগুলো গণমাধ্যমের অনুমতি দিয়ে বলার ও লেখার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত যেন না করা না হয়, সেদিকে গণমাধ্যমকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।
সরকারপ্রধান বলেন ‘পত্রিকা শুধু নেতিবাচক কথা লিখবে, আর ভালো কথা লিখবে না, সেটা তো হয় না। পত্রিকা অপবাদ ছড়াবে শুধু, আর কনস্ট্রাকটিভ কথা বা বেশিরভাগ লোকজনই ভালো, সেই কথা বলবে না, সেটা তো হয় না। কাজেই দায়িত্বশীলতাটা সবদিক থেকে সবার সমানভাবে থাকা লাগবে।’
প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল সকালে ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ত্যাগ করবেন। আসছে ১ অক্টোবর তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।