বর্তমান সরকারের অধীনে কোনও ধরনের সংলাপে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে বিএনপির। আর এ কারণেই দলটির নীতিনির্ধারকরা নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির ডাকা কোনও সংলাপে যাবে না বলে সভা-সেমিনারে স্পষ্ট করে বক্তব্য রাখছেন। দলীয়ভাবে এ সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে জানিয়েছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা।
দলের স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, ইতোমধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে সংলাপে না যাওয়ার। স্থায়ী কমিটির সদস্যরা সর্বসম্মতভাবে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আমলে নির্বাচন কমিশন গঠনে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নির্বাচন পদ্ধতি। যেহেতু দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার কথা ইতোমধ্যে বিএনপি জানিয়েছে, সেক্ষেত্রে আসন্ন সংলাপে অংশগ্রহণ করে সংলাপকে রাজনৈতিকভাবে পরিপুষ্ট করার কোনও সুযোগ নেই।
দলটির প্রভাবশালী নেতারা জানিয়েছেন ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন পরিচালনায় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের যে কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে ছিলেন, তাদের অধিকাংশ এখন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে। দলীয় সরকারের ক্ষমতাকালে ও ওইসব কর্মকর্তার অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ফলাফল কী হবে, তা বিএনপির অনুমেয়। দেশের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি সংলাপে অংশ নিলে তা দলের নেতাকর্মী ও অন্যান্য বিরোধী দলের কাছেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, “আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো—রাষ্ট্রপতির ডাকা সংলাপে বিএনপি যাবে না। আমি মনে করি, দলেরও এই সিদ্ধান্ত।”
কেন এমনটা মনে করেন—এ প্রশ্নের ব্যাখ্যায় ইকবাল হাসান মাহমুদ বলেন, “২০১৬ সালে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি রাষ্ট্রপতির ডাকা সংলাপে গিয়ে বর্তমান সর্বনিকৃষ্ট নির্বাচন কমিশন পেয়েছে। আর ২০১৮ সালে ঐক্যফ্রন্ট সংলাপে গিয়ে নিকৃষ্ট সব নির্বাচন পেয়েছে। এতে প্রমাণিত হয়, নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা ছাড়া এই সরকারের অধীনে কোনও নির্বাচন করা যাবে না।”